BN/Prabhupada 0267 - শ্রীকৃষ্ণ কে তা ব্যাসদেব বর্ননা করেছেন

Revision as of 10:11, 30 May 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0267 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.10 -- London, August 16, 1973

সুতরাং কৃষ্ণ ভক্তি এইরকমই হয়। ইন্দ্রিয়ের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। ঠিক যেমন কৃষ্ণ তার ইন্দ্রিয়ের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আছে, একই ভাবে, প্রকৃতপক্ষে যারা কৃষ্ণের ভক্ত, তারা তাদের ইন্দ্রিয়ের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণও রাখে। ঋষিকেশ। যমুনাচার্যের মতই। সে প্রার্থনা করছে, সে কথা বলছে, যদবধি মম চিত্ত কৃষ্ণ পদারবৃন্দে,নব নব ধামনী উদয়তম রন্তুম অসিৎ। "যখন থেকে আমি এই দিব্য আনন্দ অনুভব করতে শুরু করেছি, কৃষ্ণের চরণ কমলকে আশ্রয় নিয়ে" যদবধি মম চিত্ত কৃষ্ণ-পদারবৃন্দে, কৃষ্ণ পদারবৃন্দে, কৃষ্ণের চরন পদ্ম। "আমার চিত্ত যখন থেকে, আমার হৃদয় কৃষ্ণের চরন পদ্মে আকৃষ্ট হয়েছে, তদবধি বত নারী সঙ্গমে, " তখন থেকে, যতবার আমি যৌন জীবন সম্পর্কে চিন্তা করি" ভবতি-মুখ-বিকার, "আমি ঘৃণা করি, আমি এর উপর থুতু ফেলি।" এই হচ্ছে কৃষ্ণ ভক্তি। কৃষ্ণ ভক্তি এইরকম। ভক্তির-পরেশানুভাব-বিরক্তির অন্যত্র স্যাত। এটি জড় বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় যৌন জীবন। এটি জড় জীবনের ভিত্তি। এই সমস্ত মানুষ যৌনতার আনন্দের জন্য খুব কঠিন পরিশ্রম করে, দিন ও রাতে কাজ করছেন। যং মৈথুনাদি-গৃহ...তারা এই ধরনের অনেক ঝুঁকি নিচ্ছে। তারা কাজ করছে, কর্মচারী, তারা এত কঠোর পরিশ্রম করে কাজ করছে। তাদের জীবনের সুখ কি? জীবনের আনন্দ হচ্ছে যৌনতা। যং মৈথুনাদি-গৃহমেধী-সুখং হি তুচ্ছম। খুব ঘৃণ্য কাজ, কিন্তু এটাই তাদের সুখ। এটি জড় জীবন। সুতরাং কৃষ্ণ এই রকম নয়। কিন্তু এই দুষ্টেরা তারা ছবি আঁকে এবং এই ছবিগুলির খুব প্রশংসা করে, যে কৃষ্ণ গোপীদেরকে আলিঙ্গন করছে। কেউ আমাকে বলছিল যে ... শেষ ... কে এসেছিল? সেই শ্রী কৃষ্ণের ছবি। তাই যখন কৃষ্ণ পুতনাকে হত্যা করছে, সেই ছবিটিতে তারা রঙ দিয়ে পূরণ করবে না, কংসকে হত্যা অথবা কৃষ্ণের এত ছবি আছে। এই রকম ছবি আঁকবে না, এই শিল্পীরা। তারা শুধু গোপীদের গোপনীয় আচরণের ছবি আঁকবে। যে কৃষ্ণ কে বুঝতে পারে না, শ্রীকৃষ্ণ কি, যেটা ব্যাসদেব বর্ণনা করেছেন, কৃষ্ণ কে, নবম স্কন্দে কৃষ্ণকে বোঝার জন্য, এবং তারপর দশম স্কন্দে তিনি শ্রীকৃষ্ণের জন্মের আগমনের কথা শুরু করেন। কিন্তু এই দুষ্টরা, তারা অবিলম্বে রাস-লীলাতে চলে যান। প্রথমে, শ্রী কৃষ্ণকে বুঝুন। যদি আপনি একজন বড় লোকের বন্ধু হন, তাহলে প্রথমে তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন। তারপর আপনি তার পরিবার বিষয় বা গোপনীয় জিনিস বুঝতে চেষ্টা করুন। কিন্তু এই লোকেরা রাস লীলাতে জড়িয়ে পড়ে এবং ভুল বোঝে। এবং তাই তারা কখনও কখনও বলে, "কৃষ্ণ অনৈতিক।" কিভাবে কৃষ্ণ অনৈতিক হতে পারে? স্বীকার করে, কৃষ্ণের নাম জপ করে, অনৈতিক ব্যক্তি নৈতিক হয়ে উঠছে এবং কৃষ্ণ অনৈতিক। শুধু বোকামী দেখুন। শুধু কৃষ্ণের নাম জপ করায়, সকল অনৈতিক ব্যক্তি নৈতিক হয়ে উঠছে। এবং কৃষ্ণ অনৈতিক এবং এটি একটি দুর্বৃত্ত অধ্যাপক দ্বারা বলা হয়েছে।