BN/Prabhupada 0379 - "দশাবতার স্তোত্র" - ১

Revision as of 08:29, 30 July 2018 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0379 - in all Languages Category:BN-Quotes - Unknown Date Category:BN-Qu...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Purport to Dasavatara Stotra, CD 8

প্রলয়-প্রয়োধি-জলে ধৃতবানসিবেদম, এই গানটি মহান কবি জয়দেব গোস্বামী গেয়েছেন। তাৎপর্য এই যে যখন প্রলয় হয়েছিল তখন সমগ্র বিশ্ব জলে ভরে গিয়েছিল। এই জড় বিশ্বের চূড়ান্ত বিলুপ্ত, সর্ব প্রথম, কোনও পানি থাকবে না, পৃথিবীর সমস্ত জল সূর্যের তাপে শুকিয়ে যাবে। সূর্য এই বর্তমান মুহূর্তের চেয়ে বার গুন শক্তিশালী হবে। এইভাবে, সমস্ত জল উড়ে যাবে, সমুদ্র এবং মহাসাগর সব শুষ্ক হবে। তাই পৃথিবীতে সব জীবন্ত প্রাণী মারা যাবে, এবং তারপর, ভয়ঙ্কর তাপের কারণে, কার্যতঃ সবকিছুই ছাঁইতে রূপান্তরিত হবে। তারপর এক শত বছর ধরে বৃষ্টি হবে, যেমন হাতির শুড়ের বৃষ্টির মত, এবং এইভাবে সমগ্র মহাবিশ্ব জল দিয়ে ভরে যাবে। একে বলে প্রলয়- প্রয়ধি। বিপর্যয়ের সময় সমগ্র মহাবিশ্ব প্রলয় হবে ... যেহেতু এখন এটি বায়ু পূর্ণ, সেই সময়ে এটি জল দিয়ে ভরা হবে। তারপর সেই সময়ে বেদ রক্ষা করবে ভগবান একটি নৌকায় করে, এবং নৌকাটি বড় মাছের ডানার মধ্যে আটকে যাবে। যে মহান মাছ কৃষ্ণের অবতার হবে। এ কারণেই তাকে পূজা করা হচ্ছে, কেশব ধৃত-মীন-শরীর জয়জগদিশ। সুতরাং মীন শরীর। পরবর্তি হচ্ছে, ক্ষিতির ইহ বিপুলতরে তিষ্ঠতি তব পৃষ্ঠে ধরনি ধরন-কিন-চক্র-গরিষ্ঠে। তারপর সেখানে মন্থন হবে, পরবর্তী অবতার কচ্ছপ। কচ্ছপের পিঠে মরু পর্বত নির্ধারিত হবে, এই দুনিয়া কচ্ছপের পিঠে ধারন হবে। এটি দ্বিতীয় অবতার। প্রথম মাছ, এবং তারপর কচ্ছপ। তারপর বরাহ অবতার। এক অসুর, হরন্য, হিরন্যকশিপু এবং হিরনাক্ষ্য। তারপর তারা গর্ভোদক সাগরে তাদের অসুরিক কর্মকান্ডের ফলে পৃথিবীকে ছুঁড়ে ফেলবেন। এই মহাবিশ্বের মধ্যে একটি সমুদ্র রয়েছে। বিশ্বের অর্ধেক গর্ভোদক সমুদ্রে পূর্ণ, যার উপরে গর্ভদকশায়ী বিষ্ণু আছেন, এবং তার মধ্যে থেকে একটা কমল দন্ড বেরিয়ে আসে, যেখানে ব্রহ্ম জন্মগ্রহণ করেন। তাই সমস্ত গ্রহ মূল ডান্ডিতে বিভিন্ন দণ্ড হিসাবে ঝুলছে, গর্ভদকশায়ী বিষ্ণুর উদর থেকে আসছে। তাই এক অসুর নাম হচ্ছে হিরনাক্ষ্য, সে পৃথিবীকে জলের মধ্যে রেখেছিল। এবং সেই সময়ে, ভগবান বরাহ অবতার রুপে আসেন। বরহ অবতার ব্রহ্মের নাক থেকে একটি ছোট পোকার আকারে এসেছিলেন, এবং যখন তিনি তার হাতে রেখেছিলেন, তখন সেটি বেড়ে উঠছিল। এই ভাবে তিনি একটি খুব বড় শরীর ধারন করেন, এবং তাদের দাঁত দিয়ে, তিনি মহা সমুদ্রের জল থেকে পৃথিবীকে উত্থাপিত করেন। একেই কেশব ধৃত-বরাহ-রূপ বলা হয়। তারপরে তব-কর-কমল-বরে নখম অদভূত-শৃঙ্গম দলিত-হিরন্যকশিপু-তনু-ভৃঙ্গম। হিরন্যকশিপু, তিনি ছিলেন আরেক অসুর সে অমর হতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি ব্রহ্মার কাছ থেকে বর লাভ করেন যে সে মাটিতে মরবে না আকাশে বা জলেও মরবে না। তাই এইপ্রকার বর তিনি ব্রহ্মার কাছ থেকে লাভ করেছিলেন... ভগবান কৃষ্ণ তার ভক্তের কথার সন্মান রক্ষা করতে চেষ্টা করেন। তাই ব্রহ্মা তাকে বর দিয়েছিলেন, "হ্যাঁ তুমি মাটিতে,জলে বা আকাশে মরবে না।" কিন্তু নৃসিংহদেব আর্বিভূত হয়েছিলেন অর্ধেক সিংহ, অর্ধেক মানুষ রূপে, কারন হিরন্যকশিপু আরও বর নিয়েছিলেন ব্রহ্মার কাছ থেকে যে সে কোন মানুষ বা পশুর হাতে হত্যা হবেন না। তাই তিনি এমন একটি রূপ নেন যাকে তুমি মানুষ বা পশু বলতে পারবে না, এবং তিনি অশুরকে তার কোলে রাখেন, যেটা ছিল না মাটি, জল বা আকাশ। এবং তিনি চেয়েছিলেন, কোন অস্ত্রের দ্বারা যেন তিনি হত্যা না হন। সেইজন্য ভগবান তাকে হত্যা করেন তার নখুন দ্বারা। নখকে কোন অস্ত্র বলে ধরা হয় না। এইভাবে সে ব্রহ্মাকে প্রতারণা করেন, কিন্তু ভগবান খুব বুদ্ধিমান সে হিরন্যকশিপুকে প্রতারণা করেন এবং তাকে হত্যা করেন। কেশব ধৃত-নরহরি-রূপ। দলিত- হিরন্যকশিপু-ত্নু-ভৃঙ্গম। যেমন আমাদের নখ দ্বারা, আমরা কোন পতঙ্গকে হত্যা করতে পারি। তুমি ওটাকে দুভাগ করতে পারি। একইভাবে হিরন্যকশিপু ছিলেন এমন একজন অসুর, তাকে একটি পতঙ্গের সাথে তুলনা করা হয়। এবং ভগবানের নখ দ্বারা তার মৃত্যু হয়।