BN/Prabhupada 0051 - অল্পবুদ্ধিসম্পন্ন মস্তিস্ক বুঝতে পারবে না এই দেহের অতীত কি রয়েছে

Revision as of 07:07, 2 December 2017 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0051 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1976 Category:BN-Quotes - C...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Interview with Newsweek -- July 14, 1976, New York

সাক্ষাতকার: আপনি কি মনে করেন যে কিছু দিনের মধ্যে কৃষ্ণভাবনামৃত বিশ্বের সকল মানুষের কাছে ছড়িয়ে যাবে?

প্রভুপাদ: সেটা সম্ভব না |এটা আরো বুদ্ধিমান ক্লাসের জন্য । সুতরাং এটি, এই আন্দোলন, সবচেয়ে বুদ্ধিমান শ্রেণীর জন্য।

সাক্ষাতকার: কিন্তু সবচেয়ে বুদ্ধিমান শ্রেণীর মধ্যে।

প্রভুপাদ: যদি কেউ বুদ্ধিমান শ্রেণীতে না থাকে তবে সে বুঝবে না। তাই আমরা আশা করি না যে সবাই বুদ্ধিমান। কৃষ্ণ যে ভজে সে বড় চতুর। যদি একজন খুব বুদ্ধিমান না হয়, তবে সে কৃষ্ণ ভাবনামৃতে আসবে না, কারন এটি একটা অন্য বিষয়। মানুষ নিবিষ্ট হয় জীবনের শারীরিক ধারণার সঙ্গে । কিন্তু এই বিষয়টি একটু অন্য। তাই নিস্তেজ মস্তিষ্ক, এই শরীরের উপরেও কিছু আছে তা বুঝতে পারে না। তাই আপনি আশা করতে পারেন না যে সবাই কৃষ্ণভাবনামৃ্ত গ্রহণ করবে। এটা সম্ভব নয়।

সাক্ষাৎকারক: মানবজাতির জেনেটিক পরিপূর্ণতা সম্পর্কে অনেক কথা বলা হয়েছে, অথবা বলা যায়, জেনেটিক পরিপূর্ণতা প্রবর্তন করা।

প্রভুপাদ: জেনেটিক কি?

সাক্ষাতকার: ভাল ... জেনেটিক পরিপূর্ণতা কি?

বালী-মর্দন: আমরা জেনেটিক্স বিজ্ঞান সম্পর্কে গতকাল আলোচনা করেছি। তারা বৈশিষ্ট্যগুলি বোঝার চেষ্টা করে, কীভাবে শরীর ও মন গঠিত হয় এবং তারপর এটি পরিবর্তন করার চেষ্টা করে।

প্রভুপাদ : আমরা ইতিমধ্যেই ... ওই বইটি কোথায়?

রামেশ্বর: স্বরুপ দামোদরের বই।

প্রভুপাদ: হ্যাঁ । ওই বইটা আনো।

রামেশ্বর: তোমার প্রশ্ন কি?

সাক্ষাতকার: আমার প্রশ্ন হল ... আপনি আগে প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার সম্পর্কে উল্লেখ করেছিলেন। এবং যদি কিছু সমাজ আছে যেখানে কিছু আছে ...

প্রভুপাদ: সেই বই এখানে নেই? কোথাও?

সাক্ষাত্কারী: আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি প্রযুক্তিগত উপায়ে মানুষ যদি কিছুটা উন্নত হয়, অন্য কথায়, মানুষ এখন আরও বুদ্ধিমান, আপনি কি ভাবে একজন বুদ্ধিমান মানুষ বিবেচনা করবেন।

প্রভুপাদ: বুদ্ধিমান মানুষ ... যদি কেউ বুঝতে পারে যে সে এই দেহ নয় - সে শরীরের মধ্যেই ... ঠিক যেমন আপনি একটি শার্ট পরে আছেন কিন্তু আপনি শার্ট নয়। যে কেউ বুঝতে পারবেন। আপনি শার্টের মধ্যে আছেন। সেইরকম একজন বুঝতে পারে যে সে এই শরীর নয়-সে এই শরীরের মধ্যে আছে। যে কেউ বুঝতে পারে কারন যখন শরীর মারা যায় , তখন কি পার্থক্য থাকে? কারণ শরীরের মধ্যের জীবন্ত শক্তি চলে গেছে, তাই আমরা শরীরকে মৃত বলি।

সাক্ষাতকার: কিন্তু কিছু খুব বুদ্ধিমান মানুষ আছে যারা আধ্যাত্মিক আলোতে আলোকিত নয়, সম্ভবত এমন মানুষও যারা বুঝতে পারে যে তারা কিছুই না, বা এই শরীরই সব কিছু নয়, শরীরের মৃত্যু হয়েছে এবং সেখানে অন্য কিছু আছে। কেন এই মানুষরা আধ্যাত্মিক সচেতন হয় না?

প্রভুপাদ: কেউ যদি এই সহজ জিনিসটি বুঝতে না পারে যে সে দেহ নয়, তবে সে পশু ছাড়া আর কিছু নয়। এটি আধ্যাত্মিক প্ল্যাটফর্মের প্রথম বোঝার বিষয়। যদি তিনি মনে করেন যে তিনি শরীর, তাহলে তিনি পশু হিসাবে গন্য হবেন।

রামেশ্বর: তার প্রশ্ন হচ্ছে ... ধরুন মৃত্যুর পর কেউ পরবর্তী জীবনে কিছু বিশ্বাস রাখে। এবং হতে পারে তিনি জাগতিক বিচারে বুদ্ধিমান মানুষ । কেন সে স্বয়ংক্রিয় না ...?

প্রভুপাদ: না, জাগতিক মান কোন বুদ্ধি নয়। জাগতিক মান হচ্ছে যে আমি এই শরীর। আমি আমেরিকান, আমি ইন্ডিয়ান, আমি শিয়াল, আমি কুকুর, আমি মানুষ। এটি জাগতিক বোঝাপড়া। আধ্যাত্মিক বোঝাপড়া এর উপরে, যেটা আমি এই শরীর নই।" এবং যখন তিনি আধ্যাত্মিক সনাক্তকরণ বুঝতে চেষ্টা করেন, তখন তিনি বুদ্ধিমান হন। অন্যথায় তিনি বুদ্ধিমান নয়।

সাক্ষাৎকারক: তার মানে ...

প্রভুপাদ: তাদেরকে মুধা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। মুধা মানে গাধা । সুতরাং এটাই প্রথম বোঝা, যে এই শরীরকে সনাক্ত করা উচিত নয়।

সাক্ষাত্কার: এটা থেকে কি বুঝায় ...?

প্রভুপাদ: যেমন কুকুর বোঝে সে শরীর। যদি একজন মানুষও একই রকম বোঝে যে সে শরীর - তাহলে কুকুরের তুলনায় সে আর ভালো কিছু নয়।

সাক্ষাত্কার: এই থেকে অন্য আর কি বোঝার আছে? বালি-মর্দনঃ আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনি শরীর নন, তাহলে পরবর্তী কি হবে?

প্রভুপাদ: হা! এটা বুদ্ধিমান প্রশ্ন । তারপর একজন বুঝতে পারবে যে " আমি জীবনে শুধুমাত্র শারীরীক ধ্যান ধারনায় নিযুক্ত।" তাহলে আমার সন্নিবেশ কি? "এটি সনাতন গোস্বামীর তদন্ত, যে "আপনি আমাকে জাগতিক প্রবৃত্তি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত করান।" এখন আমাকে বলুন আমার কি করা কত্তব্য ।" এই কারনে একজনকে আধ্যাত্মিক গুরুর কাছে যেতে হয় । জানতে ,বুঝতে যে তার দায়িত্ব কি। "যদি আমি এই শরীর না হই তাহলে আমার কি কত্তব্য? কারণ আমি এই শরীরের জন্য পুরো দিন রাত ব্যস্ত। আমি খাচ্ছি, আমি ঘুমাচ্ছি আমি যৌনতা করছি, আমি রক্ষা করছি - এই সব শারীরিক প্রয়োজনীয়তা আমি যদি আমি শরীর না হই তাহলে আমার দায়িত্ব কি? এটাই বুদ্ধিমত্তা।

রামেশ্বর: সুতরাং আপনি বলুন, " পরবর্তী বিষয় কি ? আপনি এই শরীর নয় বোঝার পর।"

প্রভুপাদ বলছেন যে পরবর্তী জিনিসটি জানতে হবে যে আপনার কি করা উচিত, এবং সেই জন্য, আপনি একজন আত্ম উপলব্ধি আত্মা বা আধ্যাত্মিক মাস্টার থেকে তথ্য গ্রহণ করুন।

সাক্ষাতকার: তার বই আকারে আধ্যাত্মিক মাস্টার।

বালি-মর্দন: ব্যক্তিগতভাবে বা ...

পুষ্ট কৃষ্ণ: প্রভুপাদ ব্যাখ্যা করছিলেন যে এখন শারীরিক ধারণার মধ্যে আমাদের অনেক দায়িত্ব আছে। আমরা কাজ করছি, আমরা যৌন জীবন করছি, আমরা খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি, নিজেদের রক্ষার জন্য - অনেক কিছু করছি। এই সব শরীরের সম্পর্ক হয়। কিন্তু যদি আমি দেহ না হই তাহলে আমার দায়িত্ব কি? আমার কত্তব্য কি? তাই পরবর্তী জিনিস হল যে এটি বুঝতে হলে, তিনি আধ্যাত্মিক মাস্টার থেকে নির্দেশ নিতে হবে, বাস্তব কর্তব্য কি এটা বুঝতে এবং অগ্রগতি করতে। এটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ।

প্রভুপাদ: খাওয়া, ঘুমানো, যৌন জীবন এবং প্রতিরক্ষার জন্য আমাদের একজন শিক্ষক থেকে কিছু জ্ঞান প্রয়োজন। খাওয়ার জন্য বলুন, সুতরাং আমরা বিশেষজ্ঞ থেকে জ্ঞান গ্রহণ করি কি ধরনের খাওয়া আমরা নিতে হবে, কি ধরনের ভিটামিন, কি ধরনের ... তাই শিক্ষার প্রয়োজন এবং ঘুমের জন্যও শিক্ষা প্রয়োজন। এবং তাই জীবনের শারীরিক ধারণার জন্য আমাদের অন্যদের থেকে জ্ঞান গ্রহণ করতে হবে। সুতরাং যখন তিনি জীবনের এই শারীরিক ধারণা উপরে হয় - তিনি বুঝতে পারেন যে "আমি এই শরীর নই; আমি চিন্ময় আত্মা" - একইভাবে তাকে একটি বিশেষজ্ঞ থেকে পাঠ এবং শিক্ষা নিতে হবে।