BN/Prabhupada 0147 - সাধারন চাল কে সুপ্রীম চাল বলা হয় না: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0147 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 6: Line 6:
[[Category:BN-Quotes - in Hong Kong]]
[[Category:BN-Quotes - in Hong Kong]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- TO CHANGE TO YOUR OWN LANGUAGE BELOW SEE THE PARAMETERS OR VIDEO -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|French|FR/Prabhupada 0146 - En mon absence l’appareil audio reproduira les mêmes vibrations sonores|0146|FR/Prabhupada 0148 - Nous faisons partie intégrante de Dieu|0148}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0146 - আমার অনুপস্থিতিতে, যদি রেকর্ডটি চালানো হয়, তবে এটি একই শব্দকে কম্পন করবে|0146|BN/Prabhupada 0148 - আমরা ভগবানের অংশাতি অংশ|0148}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 29: Line 29:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
ভক্তরা জানে ভগবান আছে, এবং সে ভগবান। ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয় তাই এখানে বলা হয় যদিও ... ভগবদ গীতা কৃষ্ণ বলেছেন, সবাই জানে। কিন্তু ভগবত গীতার কিছু জায়গায় বলা হয়েছে ভগবান উবাচ। ভগবান এবং কৃষ্ণ- একই ব্যাক্তি। কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ং ([[Vanisource:SB 1.3.28|শ্রী.ভা.১.৩.২৮]]) ভগবান, ভগবান শব্দের একটি সংজ্ঞা আছে। ঐশ্বর্য্যস্য সমগ্রস্য বির্য্যস্য যশ্যস্য শ্রীয় জ্ঞান বৈরাগ্যস্য চৈব শন্নাম ভাগা ইতিগনা (বিষ্ণু পুরান ৬.৫.৪৭) ভগ, আমদের বুঝতে হবে ভগবান শব্দটি, ভাগ্য। ভাগ্য, ভাগ্যবান, এই শব্দ আসছে ভগ শব্দ থেকে। ভগ মানে সম্পদ। সম্পদ মানে ধনী। কিভাবে একজন মানুষ ধনী হতে পারে? যদি সে টাকা পেয়ে থাকে, যদি তার কাছে বুদ্ধি থাকে, যদি সে সৌন্দর্য পেয়ে থাকে, যদি সে খ্যাতি লাভ করে, যদি জ্ঞান পেয়ে থাকে, যদি সে বৈরাগ্য পেয়ে থাকে- এটা ভগবানের অর্থ। সুতরাং যখন আমরা বলি ভগবান," এই ভগবান পরমেশ্বর... ঈশ্বর, পরমেশ্বর, আত্মা, পরমাত্মা, ব্রহ্ম, পরব্রহ্ম-দুটো শব্দ। একটা সাধারণ, এবং আরেকটা পরম, সুপ্রীম। যেমন আমাদের রান্না পদ্ধতি, আমরা অনেক ধরনের রাইস রান্না করি। রাইস আছে, অনেক নাম আছে, অন্ন, পরমান্ন,পুষ্পান্ন,খিচোরান্ন এইরকম অতএব সর্বোচ্চ অন্নকে পরমান্ন বলা হয়। পরম মানে সর্বোচ্চ। অন্ন, রাইস, আছে, কিন্তু এটি সর্বোচ্চ হয়ে গেছে। সাধারণ রাইসকে বলা হয় সুপ্রিম রাইস। এটাও রাইস। এবং যখন আপনি রাইস তৈরী করেন ক্ষীরার সহিত মানে দুধ, এবং অন্য সুন্দর উপাদানগুলো, যেটাকে বলে হয় পরমান্ন। তেমনই জীবের এবং ভগবানের লক্ষন- এক বাস্তবিকভাবে একই। ভগবান...আমরা এই শরীর পেয়েছি, ভগবান এই শরীর পেয়েছে। ভগবানও জীব, আমরাও জীব। ভগবানের আছে সৃজনশীল শক্তি, আমাদেরও আছে সৃজনশীল শক্তি। কিন্তু পার্থক্য এই যে তিনি খুব মহান। একো যো বহুনাম বিদধতি কামান। যখন ভগবান এই সমগ্র মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে, তখন তার কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। তিনি আকাশ সৃষ্টি করেছেন আকাশ থেকে শব্দ আসছে; শব্দ থেকে বাতাস আসছে; বায়ু থেকে আগুন আসছে; আগুন থেকে জল আসছে; এবং জল থেকে পৃথিবী আসছে।  
ভক্তরা জানে ঈশ্বর আছে এবং তিনি ভগবান। ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয় তাই এখানে বলা হয়েছে ... ভগবদ গীতা কৃষ্ণ বলেছেন, সবাই জানে। কিন্তু ভগবদ গীতার কিছু জায়গায় বলা হয়েছে ভগবান উবাচ। ভগবান এবং কৃষ্ণ- একই ব্যাক্তি। কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ং ([[Vanisource:SB 1.3.28|শ্রী.ভা.১.৩.২৮]]) ভগবান, ভগবান শব্দের একটি সংজ্ঞা আছে।  
 
:ঐশ্বর্য্যস্য সমগ্রস্য  
 
:বির্য্যস্য যশ্যস্য শ্রীয়  
 
:জ্ঞান বৈরাগ্যস্য চৈব  
 
:শন্নাম ভাগা ইতিগনা  
 
:(বিষ্ণু পুরান ৬.৫.৪৭)  
 
ভগ, আমরা ভাগ্যবান শব্দটি বুঝি, ভাগ্য। ভাগ্য, ভাগ্যবান, এই শব্দ ভগ শব্দ থেকে  আসছে। ভগ মানে সম্পদ। সম্পদ মানে ধনী। কিভাবে একজন মানুষ ধনী হতে পারে? যদি উনার কাছে টাকা থাকে, যদি উনার কাছে বুদ্ধি থাকে, যদি উনি সৌন্দর্য পেয়ে থাকে, যদি উনি খ্যাতি লাভ করে, যদি উনি জ্ঞান পেয়ে থাকে, যদি উনি বৈরাগ্য পেয়ে থাকে- এটা ভগবানের অর্থ।  
 
সুতরাং যখন আমরা বলি ভগবান," এই পরমেশ্বর ভগবান... ঈশ্বর, পরমেশ্বর, আত্মা, পরমাত্মা, ব্রহ্ম, পরব্রহ্ম-দুটো শব্দ। একটা সাধারণ, এবং আরেকটা পরম, সুপ্রীম। যেমন আমাদের রান্না পদ্ধতি, আমরা অনেক ধরনের রাইস রান্না করি। রাইস আছে, অনেক নাম আছে, অন্ন, পরমান্ন,পুষ্পান্ন,খিচোরান্ন এইরকম অতএব সর্বোত্তম অন্নকে পরমান্ন বলা হয়। পরম মানে সর্বোচ্চ। অন্ন,, আছে, কিন্তু এটি সর্বোত্তম হয়ে গেছে। সাধারণ অন্নকে পরমান্ন বলা হয় না। এটাও অন্ন। এবং যখন আপনি ক্ষীরের অর্থাৎ দুধের সাথে অন্ন তৈরী করেন এবং অন্য সুন্দর সামগ্রী, যেটাকে বলে হয় পরমান্ন। তেমনই জীবের এবং ভগবানের লক্ষণ- ব্যবহারিকভাবে একই। ভগবান...আমাদের কাছে এই শরীর আছে, ভগবানের কাছে এই শরীর আছে। ভগবানও জীবিত ব্যাক্তি, আমরাও জীবিত ব্যাক্তি। ভগবানের আছে সৃজনশীল শক্তি, আমাদেরও আছে সৃজনশীল শক্তি। কিন্তু পার্থক্য এই যে তিনি খুব মহান। একো যো বহুনাম বিদধতি কামান। যখন ভগবান এই সমগ্র মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে, তখন তার কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। তিনি আকাশ সৃষ্টি করেছেন আকাশ থেকে শব্দ আসছে; শব্দ থেকে বাতাস আসছে; বায়ু থেকে আগুন আসছে; আগুন থেকে জল আসছে; এবং জল থেকে পৃথিবী আসছে।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 12:20, 3 December 2021



Lecture on BG 7.1 -- Hong Kong, January 25, 1975

ভক্তরা জানে ঈশ্বর আছে এবং তিনি ভগবান। ঈশ্বরকে ভগবান বলা হয় তাই এখানে বলা হয়েছে ... ভগবদ গীতা কৃষ্ণ বলেছেন, সবাই জানে। কিন্তু ভগবদ গীতার কিছু জায়গায় বলা হয়েছে ভগবান উবাচ। ভগবান এবং কৃষ্ণ- একই ব্যাক্তি। কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ং (শ্রী.ভা.১.৩.২৮) ভগবান, ভগবান শব্দের একটি সংজ্ঞা আছে।

ঐশ্বর্য্যস্য সমগ্রস্য
বির্য্যস্য যশ্যস্য শ্রীয়
জ্ঞান বৈরাগ্যস্য চৈব
শন্নাম ভাগা ইতিগনা
(বিষ্ণু পুরান ৬.৫.৪৭)

ভগ, আমরা ভাগ্যবান শব্দটি বুঝি, ভাগ্য। ভাগ্য, ভাগ্যবান, এই শব্দ ভগ শব্দ থেকে আসছে। ভগ মানে সম্পদ। সম্পদ মানে ধনী। কিভাবে একজন মানুষ ধনী হতে পারে? যদি উনার কাছে টাকা থাকে, যদি উনার কাছে বুদ্ধি থাকে, যদি উনি সৌন্দর্য পেয়ে থাকে, যদি উনি খ্যাতি লাভ করে, যদি উনি জ্ঞান পেয়ে থাকে, যদি উনি বৈরাগ্য পেয়ে থাকে- এটা ভগবানের অর্থ।

সুতরাং যখন আমরা বলি ভগবান," এই পরমেশ্বর ভগবান... ঈশ্বর, পরমেশ্বর, আত্মা, পরমাত্মা, ব্রহ্ম, পরব্রহ্ম-দুটো শব্দ। একটা সাধারণ, এবং আরেকটা পরম, সুপ্রীম। যেমন আমাদের রান্না পদ্ধতি, আমরা অনেক ধরনের রাইস রান্না করি। রাইস আছে, অনেক নাম আছে, অন্ন, পরমান্ন,পুষ্পান্ন,খিচোরান্ন এইরকম অতএব সর্বোত্তম অন্নকে পরমান্ন বলা হয়। পরম মানে সর্বোচ্চ। অন্ন,, আছে, কিন্তু এটি সর্বোত্তম হয়ে গেছে। সাধারণ অন্নকে পরমান্ন বলা হয় না। এটাও অন্ন। এবং যখন আপনি ক্ষীরের অর্থাৎ দুধের সাথে অন্ন তৈরী করেন এবং অন্য সুন্দর সামগ্রী, যেটাকে বলে হয় পরমান্ন। তেমনই জীবের এবং ভগবানের লক্ষণ- ব্যবহারিকভাবে একই। ভগবান...আমাদের কাছে এই শরীর আছে, ভগবানের কাছে এই শরীর আছে। ভগবানও জীবিত ব্যাক্তি, আমরাও জীবিত ব্যাক্তি। ভগবানের আছে সৃজনশীল শক্তি, আমাদেরও আছে সৃজনশীল শক্তি। কিন্তু পার্থক্য এই যে তিনি খুব মহান। একো যো বহুনাম বিদধতি কামান। যখন ভগবান এই সমগ্র মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে, তখন তার কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। তিনি আকাশ সৃষ্টি করেছেন আকাশ থেকে শব্দ আসছে; শব্দ থেকে বাতাস আসছে; বায়ু থেকে আগুন আসছে; আগুন থেকে জল আসছে; এবং জল থেকে পৃথিবী আসছে।