BN/Prabhupada 0212 - বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোনের বিচারে মৃত্যুর পর জীবন আছে: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0212 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1976 Category:BN-Quotes - C...")
 
No edit summary
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0211 - हमारा मिशन है श्री चैतन्य महाप्रभु की इच्छा की स्थापना करना|0211|HI/Prabhupada 0213 - मौत को बंद करो - तब मैंतुम्हारा रहस्यवाद देखूँगा|0213}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0211 - আমাদের মিশন হচ্ছে চৈতন্য মহাপ্রভুর ইচ্ছাকে স্থাপন করা|0211|BN/Prabhupada 0213 - মৃত্যুকে বন্ধ করো তাহলে আমি তোমাদের রহস্যবাদ দেখবো|0213}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
প্রভুপাদঃ আধুনিক শিক্ষায়, তারা বুঝতে পারে না এই জন্ম, মৃত্যু,জড়া এবং ব্যাধির পুনরাবৃত্তি একটা সমস্যা। তারা বুঝতে পারে না। কেন তারা এটি স্বীকার করে? স্বীকার করো, তারা মনে করে আর কোন পথ নেই। কিন্তু যদি বন্ধ করার রাস্তা থাকে, কেন তারা সেটা স্বীকার করে না? হুম? এই শিক্ষার কি দাম আছে? তারা সঠিক এবং ভুলের পার্থক্য করতে পারে না। কেউ মৃত্যু চায় না, কিন্তু মৃত্যু আছে। কেউ বৃদ্ধ হতে চায় না, কিন্তু বৃদ্ধ বয়স আছে। কেন তারা বড় সমস্যাকে দেখেও না দেখে থাকে এবং তারা বিজ্ঞানের এই উন্নতিতে গর্ব বোধ করে? কি ধরনের শিক্ষা এটা? যদি তারা কোনটা সঠিক কোনটা ভুল এর পার্থক্য করতে না পারে তাহলে এই শিক্ষার পরিণাম কি? শিক্ষা মানে একজন অবশ্যই পার্থক্য করতে পারবে কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভুল। কিন্তু তারা  করতে পারে না, এমনকি তারা জানেও না যে এই মৃত্যু ভাল নয়, কিন্তু কেন তারা এই মৃত্যকে বন্ধ করতে চেষ্টা করছে না? উন্নতি কোথায়? তারা বিজ্ঞানের উন্নতিতে খুব গর্ব অনুভব করে। কোথায় উন্নতি? আপনি মৃত্যুকে বন্ধ করতে পারেন না। আপনি বৃদ্ধ অবস্থা বন্ধ করতে পারেন না। আপনি উন্নত ঔষধ তৈরী করতে পারেন, কিন্তু কেন আপনি রোগকে বন্ধ করছেন না? এই ঔষধ নেন, আর কোন রোগ হবে না। কোথায় সেই বিজ্ঞান? হুম?  
প্রভুপাদঃ আধুনিক শিক্ষায়, তারা বুঝতে পারে না এই জন্ম, মৃত্যু,জড়া এবং ব্যাধির পুনরাবৃত্তি একটা সমস্যা। তারা বুঝতে পারে না। কেন তারা এটি মেনে নেয়? মেনে নেয়? কারণ তারা মনে করে আর কোন পথ নেই। কিন্তু যদি বন্ধ করার রাস্তা থাকে, কেন তারা সেটা গ্রহণ করছে না? হুম্‌? এই শিক্ষার কি দাম আছে? তারা সঠিক এবং ভুলের পার্থক্য করতে পারে না। কেউ মৃত্যু চায় না, কিন্তু মৃত্যু আছে। কেউ বৃদ্ধ হতে চায় না, কিন্তু বৃদ্ধ বয়স আছে। কেন তারা বড় সমস্যাকে দেখেও না দেখে থাকে এবং তারা বিজ্ঞানের এই উন্নতিতে গর্ব বোধ করে? কি ধরনের শিক্ষা এটা? যদি তারা কোনটা সঠিক কোনটা ভুল এর পার্থক্য করতে না পারে তাহলে এই শিক্ষার পরিণাম কি? শিক্ষা মানে একজন অবশ্যই পার্থক্য করতে পারবে কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভুল। কিন্তু তারা  করতে পারে না, এমনকি তারা জানেও না যে এই মৃত্যু ভাল নয়, কিন্তু কেন তারা এই মৃত্যুকে বন্ধ করতে চেষ্টা করছে না? কিসের উন্নতি? তারা বিজ্ঞানের উন্নতিতে খুব গর্ব অনুভব করে। কোথায় উন্নতি? আপনি মৃত্যুকে বন্ধ করতে পারেন না। আপনি বৃদ্ধ অবস্থা বন্ধ করতে পারেন না। আপনি উন্নত ঔষধ তৈরী করতে পারেন, কিন্তু কেন আপনি রোগকে বন্ধ করছেন না? এই ঔষধ নেন, আর কোন রোগ হবে না। কোথায় সেই বিজ্ঞান? হুম?  


নালিনীকান্তঃ তারা বলছে তারা এর উপর কাজ করছে।  
নলিনীকান্তঃ তারা বলছে তারা এর উপর কাজ করছে।  


প্রভুপাদঃ সেটা হচ্ছে আরেকটা বোকামি। ধাপ্পাবাজী।  
প্রভুপাদঃ সেটা হচ্ছে আরেকটা বোকামি। ধাপ্পাবাজী।  
Line 38: Line 38:
গোপবৃন্দপালঃ যেমন আমরা বলি যে কৃষ্ণ ভাবনামৃত একটি ক্রমিক প্রক্রিয়া, সেইরকম তারা বলে যে তাদের বিজ্ঞানও একটি ক্রমিক প্রক্রিয়া।  
গোপবৃন্দপালঃ যেমন আমরা বলি যে কৃষ্ণ ভাবনামৃত একটি ক্রমিক প্রক্রিয়া, সেইরকম তারা বলে যে তাদের বিজ্ঞানও একটি ক্রমিক প্রক্রিয়া।  


প্রভুপাদঃ ক্রমিক প্রক্রিয়া, কিন্তু তারা কি মনে করে যে তারা মৃত্যুকে বন্ধ করতে সক্ষম হবে? আমরা নিশ্চিত যে আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি, ভগবদ্ধাম ফিরে যাব, কৃষ্ণের কাছে। কিন্তু তাদের বিশ্বাস কি যে, তারা মৃত্যু,বৃদ্ধতা রোগ কে বন্ধ করতে সক্ষম হবে,  
প্রভুপাদঃ ক্রমিক প্রক্রিয়া, কিন্তু তারা কি মনে করে যে তারা মৃত্যুকে বন্ধ করতে সক্ষম হবে? আমরা নিশ্চিত যে আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি, ভগবদ্ধাম ফিরে যাব, কৃষ্ণের কাছে। কিন্তু তাদের বিশ্বাস কি যে, তারা মৃত্যু, বার্ধক্য, রোগ কে বন্ধ করতে সক্ষম হবে, ড. ওলফঃ নতুন একটা ধারা এখন এই যে তারা বলে যে তারা চেষ্টা করছে, তারা স্থাপন করেছে যে মৃত্যুর পর জন্ম আছে।


ডাঃ ওলফঃ নতুন ফিড এখন তারা বলে যে তারা চেষ্টা করছে, তারা স্থাপন করেছে যে মৃত্যুর পর জন্ম আছে।
প্রভুপাদঃ অবশ্যই আছে


প্রভুপাদঃ অবশ্যই আছে  ডাঃ ওলফঃ তারা বিজ্ঞানগত ভাবে এইরকম করারা জন্য আবার  চেষ্টা করছে। প্রভুপাদঃ তাদের করতে দিন। বিজ্ঞানগত ভাবে, মৃত্যর পর জীবন আছে। সেটা আমরা ক্রমাগত বলছি, যে আমার বাচ্চা শরীরের মৃত্যু হ‍য়েছে, গায়েব হয়ে গেছে। আমি একটা আলাদা শরীর পেয়েছি। তাই মৃত্যু পর আরেকটা জীবন আছে। এটা বাস্তব। তাই এই কৃষ্ণ বলেছেন, তথা দেহান্তর-প্রাপ্তির ([[Vanisource:BG 2.13|ভ.গী ২.১৩]]) তাই একই ভাবে না হন্যতে হন্যমানে শরীরে ([[Vanisource:BG 2.20|ভ.গী ২.২০]]) এটা ভগবানের বিবৃতি, এবং বাস্তবে আমরা দেখেছি যে আমরা একটার পর একটা শরীর পাচ্ছি, কিন্তু আমি একই আছি। এইজন্য আপত্তি আছে কি? তাই মৃত্যুর পর জীবন আছে। তথাকথিত মৃত্যু মানে হচ্ছে শরীরের বিনাশ। তাই আমরা যদি ওই জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি, তাহলে আর মৃত্যু নেই, তারপর এটির খোঁজ করতে হবে। এটাই হচ্ছে বুদ্ধি। সেটা ভগবদ গীতাতে বর্ননা করা হয়েছে, যদি আপনি শুধু কৃষ্ণকে বুঝতে চান। এবং  তাহলে আপনি যোগ্য হন তার কাছে ফিরে যেতে, তাহলে আর কোন মৃত্যু থাকবে না।  
ড. ওলফঃ তারা বিজ্ঞানগত ভাবে এইরকম করারা জন্য আবার  চেষ্টা করছে।  
 
প্রভুপাদঃ তাদের করতে দিন। বিজ্ঞানগত ভাবে, মৃত্যর পর জীবন আছে। সেটা আমরা বারবার বলছি, যে আমার বাচ্চা শরীরের মৃত্যু হ‍য়েছে, গায়েব হয়ে গেছে। আমি একটা আলাদা শরীর পেয়েছি। তাই মৃত্যুর পর আরেকটা জীবন আছে। এটা বাস্তব। তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, তথা দেহান্তর-প্রাপ্তির ([[Vanisource:BG 2.13 (1972)|ভ.গী ২.১৩]]) তাই একই ভাবে না হন্যতে হন্যমানে শরীরে ([[Vanisource:BG 2.20 (1972)|ভ.গী ২.২০]]) এটা ভগবানের বিবৃতি, এবং বাস্তবে আমরা দেখেছি যে আমরা একটার পর একটা শরীর পাচ্ছি, কিন্তু আমি একই আছি। এইজন্য আপত্তি আছে কি? তাই মৃত্যুর পর জীবন আছে। তথাকথিত মৃত্যু মানে হচ্ছে শরীরের বিনাশ। তাই আমরা যদি ওই জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি, তাহলে আর মৃত্যু নেই, তারপর এটির খোঁজ করতে হবে। এটাই হচ্ছে বুদ্ধি। সেটা ভগবদ গীতাতে বর্ণনা করা হয়েছে, যদি আপনি শুধু কৃষ্ণকে বুঝতে চান। এবং  তাহলে আপনি যোগ্য হন তার কাছে ফিরে যেতে, তাহলে আর কোন মৃত্যু থাকবে না।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 04:10, 5 December 2021



Garden Conversation -- June 10, 1976, Los Angeles

প্রভুপাদঃ আধুনিক শিক্ষায়, তারা বুঝতে পারে না এই জন্ম, মৃত্যু,জড়া এবং ব্যাধির পুনরাবৃত্তি একটা সমস্যা। তারা বুঝতে পারে না। কেন তারা এটি মেনে নেয়? মেনে নেয়? কারণ তারা মনে করে আর কোন পথ নেই। কিন্তু যদি বন্ধ করার রাস্তা থাকে, কেন তারা সেটা গ্রহণ করছে না? হুম্‌? এই শিক্ষার কি দাম আছে? তারা সঠিক এবং ভুলের পার্থক্য করতে পারে না। কেউ মৃত্যু চায় না, কিন্তু মৃত্যু আছে। কেউ বৃদ্ধ হতে চায় না, কিন্তু বৃদ্ধ বয়স আছে। কেন তারা বড় সমস্যাকে দেখেও না দেখে থাকে এবং তারা বিজ্ঞানের এই উন্নতিতে গর্ব বোধ করে? কি ধরনের শিক্ষা এটা? যদি তারা কোনটা সঠিক কোনটা ভুল এর পার্থক্য করতে না পারে তাহলে এই শিক্ষার পরিণাম কি? শিক্ষা মানে একজন অবশ্যই পার্থক্য করতে পারবে কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভুল। কিন্তু তারা করতে পারে না, এমনকি তারা জানেও না যে এই মৃত্যু ভাল নয়, কিন্তু কেন তারা এই মৃত্যুকে বন্ধ করতে চেষ্টা করছে না? কিসের উন্নতি? তারা বিজ্ঞানের উন্নতিতে খুব গর্ব অনুভব করে। কোথায় উন্নতি? আপনি মৃত্যুকে বন্ধ করতে পারেন না। আপনি বৃদ্ধ অবস্থা বন্ধ করতে পারেন না। আপনি উন্নত ঔষধ তৈরী করতে পারেন, কিন্তু কেন আপনি রোগকে বন্ধ করছেন না? এই ঔষধ নেন, আর কোন রোগ হবে না। কোথায় সেই বিজ্ঞান? হুম?

নলিনীকান্তঃ তারা বলছে তারা এর উপর কাজ করছে।

প্রভুপাদঃ সেটা হচ্ছে আরেকটা বোকামি। ধাপ্পাবাজী।

গোপবৃন্দপালঃ যেমন আমরা বলি যে কৃষ্ণ ভাবনামৃত একটি ক্রমিক প্রক্রিয়া, সেইরকম তারা বলে যে তাদের বিজ্ঞানও একটি ক্রমিক প্রক্রিয়া।

প্রভুপাদঃ ক্রমিক প্রক্রিয়া, কিন্তু তারা কি মনে করে যে তারা মৃত্যুকে বন্ধ করতে সক্ষম হবে? আমরা নিশ্চিত যে আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি, ভগবদ্ধাম ফিরে যাব, কৃষ্ণের কাছে। কিন্তু তাদের বিশ্বাস কি যে, তারা মৃত্যু, বার্ধক্য, রোগ কে বন্ধ করতে সক্ষম হবে, ড. ওলফঃ নতুন একটা ধারা এখন এই যে তারা বলে যে তারা চেষ্টা করছে, তারা স্থাপন করেছে যে মৃত্যুর পর জন্ম আছে।

প্রভুপাদঃ অবশ্যই আছে

ড. ওলফঃ তারা বিজ্ঞানগত ভাবে এইরকম করারা জন্য আবার চেষ্টা করছে।

প্রভুপাদঃ তাদের করতে দিন। বিজ্ঞানগত ভাবে, মৃত্যর পর জীবন আছে। সেটা আমরা বারবার বলছি, যে আমার বাচ্চা শরীরের মৃত্যু হ‍য়েছে, গায়েব হয়ে গেছে। আমি একটা আলাদা শরীর পেয়েছি। তাই মৃত্যুর পর আরেকটা জীবন আছে। এটা বাস্তব। তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, তথা দেহান্তর-প্রাপ্তির (ভ.গী ২.১৩) তাই একই ভাবে না হন্যতে হন্যমানে শরীরে (ভ.গী ২.২০) এটা ভগবানের বিবৃতি, এবং বাস্তবে আমরা দেখেছি যে আমরা একটার পর একটা শরীর পাচ্ছি, কিন্তু আমি একই আছি। এইজন্য আপত্তি আছে কি? তাই মৃত্যুর পর জীবন আছে। তথাকথিত মৃত্যু মানে হচ্ছে শরীরের বিনাশ। তাই আমরা যদি ওই জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি, তাহলে আর মৃত্যু নেই, তারপর এটির খোঁজ করতে হবে। এটাই হচ্ছে বুদ্ধি। সেটা ভগবদ গীতাতে বর্ণনা করা হয়েছে, যদি আপনি শুধু কৃষ্ণকে বুঝতে চান। এবং তাহলে আপনি যোগ্য হন তার কাছে ফিরে যেতে, তাহলে আর কোন মৃত্যু থাকবে না।