BN/Prabhupada 0270 - প্রত্যেক ব্যাক্তির নিজের প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি আছে: Difference between revisions
(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0270 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...") |
No edit summary |
||
Line 7: | Line 7: | ||
<!-- END CATEGORY LIST --> | <!-- END CATEGORY LIST --> | ||
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | <!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | ||
{{1080 videos navigation - All Languages| | {{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0269 - বদমাশ ব্যাখ্যা দ্বারা ভগবদ্গীতা বুঝতে পারবে না|0269|BN/Prabhupada 0271 - কৃষ্ণের আরেক নাম অচ্যুত|0271}} | ||
<!-- END NAVIGATION BAR --> | <!-- END NAVIGATION BAR --> | ||
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | <!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | ||
Line 29: | Line 29: | ||
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | <!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | ||
প্রদ্যুম্নঃ অনুবাদ, "এখন আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে বিভ্রান্ত এবং দুর্বলতা কারণে সব মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছি। এই অবস্থায়, আমি আপনাকে স্পষ্টভাবে জিজ্ঞাসা করছি আমার জন্য এখন কি করা শ্রেয়ষ্কর। এখন আমি আপনার শিষ্য এবং শরণাগত। আমাকে আদেশ করুন আমি কি করব।" | |||
প্রভুপাদঃ এটি | প্রভুপাদঃ এটি ভগবদ্গীতার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক। এটি জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য দিকপরিবর্তিনী বিষয়। কার্পণ্য-দোষ। কৃপণ, দোষ মানে ভুল। যখন কেউ তার পরিস্থিতি অনুসারে কাজ করে না, তখন এটি একটি ভুল। এবং তাকে কৃপণ বলা হয়। তাই প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব প্রাকৃতিক প্রবণতা, স্বভাব আছে। যস্য হি স্বভাবস্য তস্যাসৌ দুরতিক্রম্যঃ। স্বভাব, প্রাকৃতিক প্রবণতা। এটি একটি সাধারণ উদাহরণ, এটি দেওয়া হয়, যস্য হি স্বভাবস্য তস্যাসৌ দুরতিক্রম্যঃ। এক ... অভ্যাস দ্বিতীয় প্রকৃতি। একজন যিনি অভ্যস্থ, যেটা, যার প্রকৃতি, কোন কিছু ভাবে, পরিবর্তন করা খুব কঠিন। একটি উদাহরণ দেওয়া হয়ঃ শ্বা যদি ক্রিয়তে রাজা স কিম্ ন সৌ উপহনম। যদি আপনি একটি কুকুরকে একটি রাজা বানান, তাহলে কি সে জুতা লেহন করা ছেড়ে দেবে? হ্যাঁ, কুকুরের প্রকৃতি জুতা লেহন করা। এমনকি যদি আপনি একে একটি রাজার মত প্রস্তুত করেন এবং একটি সিংহাসন তাকে স্থাপন করেন, যাইহোক, যেই মাত্র সে জুতা দেখবে, ও লাফ মারবে এবং ওটাকে লেহন করবে। একেই বলে স্বভাব। কার্পণ্য-দোষ। | ||
পশু জীবন, এই প্রকৃতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, যা জড় প্রকৃতি দ্বারা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতি | পশু জীবন, এই প্রকৃতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, যা জড় প্রকৃতি দ্বারা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতি ক্রিয়মানানি ([[Vanisource:BG 3.27 (1972)|ভ.গী ৩.২৭]])। কারণম্ গুণ-সঙ্গস্য, কারণম্ গুণ-সঙ্গস্য সদ অসদ জন্ম যোনিষু ([[Vanisource:BG 13.22 (1972)|ভ.গী ১৩.২২]]) কেন? সমস্ত প্রাণী ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই মূলত প্রাণীর প্রকৃতি ভগবানের মতই। শুধু এই পরিমাপের প্রশ্ন গুণমান একই। গুণমান একই। মামৈবাংশ জীব-ভূতা ([[Vanisource:BG 15.7 (1972)|ভ.গী ১৫.৭]])। একই উদাহরণ যদি আপনি সমুদ্রের এক বিন্দু জল নেন, তার গুণমান, রাসায়নিক গঠন একই। কিন্তু মাত্রা ভিন্ন। এটি এক ড্রপ, এবং সমুদ্র একটি বিশাল মহাসাগর। একইভাবে, আমরা আসলে কৃষ্ণের গুণের মাত্রাই। আমরা অধ্যয়ন করতে পারি কেন মানুষ বলছেন যে ভগবান নৈর্ব্যক্তিক? যদি আমি একই মানের হই, তাহলে ভগবানও একজন ব্যক্তি, কিভাবে তিনি নৈর্ব্যক্তিক হতে পারেন? যদি, গুণগত, আমরা এক, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তাহলে ভগবানের ব্যক্তিত্ব অস্বীকার করা উচিত কেন? এটি একটি অর্থহীন কথাবার্তা, মায়াবাদী দুষ্ট, তারা ভগবানের প্রকৃতি কি বুঝতে পারে না। এটি বাইবেলেও বলা হয়েছে: "মানুষকে ভগবানের আদলে বানানো হয়েছে। আপনি আপনার গুণ বিচারের দ্বারা ভগবানের গুণ বুঝতে পারেন, বা অন্য কারোর গুণের পার্থক্য শুধু পরিমাণের। আমার কিছু গুণ আছে, কিছু উৎপাদনশীল ক্ষমতা। আমরা উৎপাদন করি, প্রতিটি জীব কিছু উৎপাদন করছে। কিন্তু তার উৎপাদন ভগবানের উৎপাদনের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। এটি পার্থক্য। আমরা একটি উড়ন্ত মেশিন উৎপাদন করছি। আমরা খুব গর্বিত যে: "এখন আমরা স্পুটনিক আবিষ্কার করেছি, এটি চাঁদ গ্রহে যাচ্ছে।" কিন্তু এটি সম্পূর্ণ নয়। এটা ফিরে আসে। কিন্তু ভগবান অনেক উড়ন্ত গ্রহ, লক্ষ লক্ষ এবং কোটি কোটি গ্রহ সৃষ্টি করেছেন, খুব ভারী, ভারী গ্রহ। এই গ্রহের মত যে একটি বৃহৎ বড় বড় পাহাড়, সাগর, কিন্তু এখনও এটি উড়ন্ত। এটি একটি তুলোর মত বায়ুতে ভাসমান আছে। এটা ভগবানের শক্তি। গাম আবিষ্য ([[Vanisource:BG 15.13 (1972)|ভ.গী.১৫.১৩]]) ভগবদ্গীতাতে, আপনি পাবেন: অহম ধারয়ামি অজসা। কে এই সব বড়, বড় গ্রহ বানিয়ে রেখেছেন? আমরা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যাখ্যা করছি। এবং শাস্ত্রে আমরা পাই যে, সংকর্ষণ এই সবের ভার বহন করছেন। | ||
<!-- END TRANSLATED TEXT --> | <!-- END TRANSLATED TEXT --> |
Latest revision as of 05:09, 10 December 2021
Lecture on BG 2.7 -- London, August 7, 1973
প্রদ্যুম্নঃ অনুবাদ, "এখন আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে বিভ্রান্ত এবং দুর্বলতা কারণে সব মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছি। এই অবস্থায়, আমি আপনাকে স্পষ্টভাবে জিজ্ঞাসা করছি আমার জন্য এখন কি করা শ্রেয়ষ্কর। এখন আমি আপনার শিষ্য এবং শরণাগত। আমাকে আদেশ করুন আমি কি করব।"
প্রভুপাদঃ এটি ভগবদ্গীতার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক। এটি জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য দিকপরিবর্তিনী বিষয়। কার্পণ্য-দোষ। কৃপণ, দোষ মানে ভুল। যখন কেউ তার পরিস্থিতি অনুসারে কাজ করে না, তখন এটি একটি ভুল। এবং তাকে কৃপণ বলা হয়। তাই প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব প্রাকৃতিক প্রবণতা, স্বভাব আছে। যস্য হি স্বভাবস্য তস্যাসৌ দুরতিক্রম্যঃ। স্বভাব, প্রাকৃতিক প্রবণতা। এটি একটি সাধারণ উদাহরণ, এটি দেওয়া হয়, যস্য হি স্বভাবস্য তস্যাসৌ দুরতিক্রম্যঃ। এক ... অভ্যাস দ্বিতীয় প্রকৃতি। একজন যিনি অভ্যস্থ, যেটা, যার প্রকৃতি, কোন কিছু ভাবে, পরিবর্তন করা খুব কঠিন। একটি উদাহরণ দেওয়া হয়ঃ শ্বা যদি ক্রিয়তে রাজা স কিম্ ন সৌ উপহনম। যদি আপনি একটি কুকুরকে একটি রাজা বানান, তাহলে কি সে জুতা লেহন করা ছেড়ে দেবে? হ্যাঁ, কুকুরের প্রকৃতি জুতা লেহন করা। এমনকি যদি আপনি একে একটি রাজার মত প্রস্তুত করেন এবং একটি সিংহাসন তাকে স্থাপন করেন, যাইহোক, যেই মাত্র সে জুতা দেখবে, ও লাফ মারবে এবং ওটাকে লেহন করবে। একেই বলে স্বভাব। কার্পণ্য-দোষ।
পশু জীবন, এই প্রকৃতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, যা জড় প্রকৃতি দ্বারা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতি ক্রিয়মানানি (ভ.গী ৩.২৭)। কারণম্ গুণ-সঙ্গস্য, কারণম্ গুণ-সঙ্গস্য সদ অসদ জন্ম যোনিষু (ভ.গী ১৩.২২) কেন? সমস্ত প্রাণী ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই মূলত প্রাণীর প্রকৃতি ভগবানের মতই। শুধু এই পরিমাপের প্রশ্ন গুণমান একই। গুণমান একই। মামৈবাংশ জীব-ভূতা (ভ.গী ১৫.৭)। একই উদাহরণ যদি আপনি সমুদ্রের এক বিন্দু জল নেন, তার গুণমান, রাসায়নিক গঠন একই। কিন্তু মাত্রা ভিন্ন। এটি এক ড্রপ, এবং সমুদ্র একটি বিশাল মহাসাগর। একইভাবে, আমরা আসলে কৃষ্ণের গুণের মাত্রাই। আমরা অধ্যয়ন করতে পারি কেন মানুষ বলছেন যে ভগবান নৈর্ব্যক্তিক? যদি আমি একই মানের হই, তাহলে ভগবানও একজন ব্যক্তি, কিভাবে তিনি নৈর্ব্যক্তিক হতে পারেন? যদি, গুণগত, আমরা এক, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তাহলে ভগবানের ব্যক্তিত্ব অস্বীকার করা উচিত কেন? এটি একটি অর্থহীন কথাবার্তা, মায়াবাদী দুষ্ট, তারা ভগবানের প্রকৃতি কি বুঝতে পারে না। এটি বাইবেলেও বলা হয়েছে: "মানুষকে ভগবানের আদলে বানানো হয়েছে। আপনি আপনার গুণ বিচারের দ্বারা ভগবানের গুণ বুঝতে পারেন, বা অন্য কারোর গুণের পার্থক্য শুধু পরিমাণের। আমার কিছু গুণ আছে, কিছু উৎপাদনশীল ক্ষমতা। আমরা উৎপাদন করি, প্রতিটি জীব কিছু উৎপাদন করছে। কিন্তু তার উৎপাদন ভগবানের উৎপাদনের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। এটি পার্থক্য। আমরা একটি উড়ন্ত মেশিন উৎপাদন করছি। আমরা খুব গর্বিত যে: "এখন আমরা স্পুটনিক আবিষ্কার করেছি, এটি চাঁদ গ্রহে যাচ্ছে।" কিন্তু এটি সম্পূর্ণ নয়। এটা ফিরে আসে। কিন্তু ভগবান অনেক উড়ন্ত গ্রহ, লক্ষ লক্ষ এবং কোটি কোটি গ্রহ সৃষ্টি করেছেন, খুব ভারী, ভারী গ্রহ। এই গ্রহের মত যে একটি বৃহৎ বড় বড় পাহাড়, সাগর, কিন্তু এখনও এটি উড়ন্ত। এটি একটি তুলোর মত বায়ুতে ভাসমান আছে। এটা ভগবানের শক্তি। গাম আবিষ্য (ভ.গী.১৫.১৩) ভগবদ্গীতাতে, আপনি পাবেন: অহম ধারয়ামি অজসা। কে এই সব বড়, বড় গ্রহ বানিয়ে রেখেছেন? আমরা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যাখ্যা করছি। এবং শাস্ত্রে আমরা পাই যে, সংকর্ষণ এই সবের ভার বহন করছেন।