BN/Prabhupada 0457 - একমাত্র অভাব হচ্ছে কৃষ্ণ ভাবনামৃতের

Revision as of 08:04, 25 December 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 7.9.6 -- Mayapur, February 26, 1977

বিজ্ঞান মানে কেবল পর্যবেক্ষণ নয় পরীক্ষা করাও। সেটাই সম্পূর্ণ। অন্যথায় তত্ত্ব। তা বিজ্ঞান নয়। সুতরাং তারা বিভিন্ন তত্ত্ব পেশ করেন। যে কেউ পেশ করতে পারেন। এমন নয় যে... তবে আসল সত্যটি হল শ্রীকৃষ্ণ আধ্যাত্মিক এবং তিনিই সর্বোচ্চ। নিত্যা নিত্যানাম্‌ চেতনশ্চেতনানাম্‌ (কঠ উপনিষদ ২.২.১৩)। এটি হল বৈদিক নির্দেশ। ঈশ্বর পরম নিত্য, শাশ্বত এবং পরম সত্তামান্ পুরুষ। অভিধানেও বলা হয়েছে, " ঈশ্বর মানে পরম সত্ত্বা।" তারা বুঝতে পারেননি "পরম সত্ত্বা।" তবে বেদে কেবল পরম সত্তা নয়, পরম সত্তা বলা হয়েছে। নিত্যা নিত্যানাম্‌ চেতনশ্চেতনানাম্‌ একো যো বহুনাম্‌ বিদধতি কামান্‌ (কঠ উপনিষদ ২.২.১৩ )। এটাই হল ঈশ্বরের বর্ণনা। সুতরাং এমনকি আধ্যাত্মিক বিষয়বস্তুটিও বোঝা খুব কঠিন, ঈশ্বরের সম্পর্কে কী বলবে। আধ্যাত্মিক জ্ঞানের শুরু হল আত্মা কী তা সর্বপ্রথমে বোঝা। এবং তারা বুদ্ধি বা মনকে আত্মা হিসাবে নিচ্ছে। তবে তা আত্মা নয়। তার উপরে। অপরেয়াম ইতস্তু বিধি মে প্রকৃতিম্‌ পরা (শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৭।৫)।

সুতরাং এই পূর্ণতা, যেমন প্রহ্লাদ মহারাজের ছিল, তাৎক্ষণিকভাবে পরম ভগবানকে স্পর্শ করে আমরাও পেতে পারি। সম্ভাবনা রয়েছে, এবং খুব সহজেই, কারণ আমরা পতিত, মন্দঃ - খুব ধীর, খুব খারাপ। মন্দঃ ও সুমন্দ-মতয়ো। এবং আমরা খারাপ হওয়ায় সবাই একটি তত্ত্ব তৈরি করেছে। সুমন্দ। মত। মতের অর্থ "মতামত"। এবং সেই মতামত কি? শুধু মন্দ নয় সুমন্দও, খুব, খুব খারাপ। সুমন্দ-মতয়ো। মন্দঃ সুমন্দ-মতয়ো মন্দ-ভাগ্যাঃ (শ্রীমদ্ভাগবতম্‌ ১.১.১০), এবং সমস্ত দুর্ভাগ্য বা দুর্বিপাক। কেন? যখন জ্ঞান আছে, তারা নেবে না। তারা তত্ত্ব পেশ করবেন। তাদের দুর্ভাগ্য। জ্ঞান প্রস্তুত, কিন্তু তারা তাত্ত্বিক হবেন, "এটি এরকম। এটি সেরকম। এটি সেরকম। সম্ভবত... হতে পারে..." এই চলছে। অতএব মন্দ-ভাগ্যাঃ ঠিক যেমন এখানে অর্থ আছে। কেউ সেই টাকা নেবে না। তিনি অর্থ উপার্জনের জন্য শূকর এবং কুকুরের মতো কঠোর পরিশ্রম করবেন। সুতরাং এর অর্থ দুর্ভাগ্য। তাই মন্দহ সুমন্দ-মতয়ো মন্দ-ভাগ্যাহ। এবং যেহেতু মন্দ-ভাগ্যাহ, তাই উপদ্রুতহ, সর্বদা অশান্তি থাকে, এই যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ। প্রারম্ভ, সম্পূর্ণ ইতিহাস, শুধুই যুদ্ধ। যুদ্ধ কেন? লড়াই কেন? কোনও লড়াই হওয়া উচিত নয়, কারণ সবা কিছু পূর্ণ, পূর্ণম ইদম ( ঈশোপনিষদ, আহবান)। পৃথিবী পরম ভাগবানের করুণায় পরিপূর্ণ, কারণ এটি রাজত্ব ... এটিও ঈশ্বরের রাজত্ব। তবে আমরা অহেতুক লড়াই করে একে নরক করে তুলেছি। এখানেই শেষ। অন্যথায় এটি ... একজন ভক্তের জন্য - পূর্ণম।

বিশ্বম পূর্ণম সুখায়তে। কেন লড়াই হবে? ঈশ্বর সবকিছু প্রদান করেছেন। আপনি জল চান? পৃথিবীর তিন চতুর্থাংশ জল পূর্ণ। তবে সেই জল নোনতা। ঈশ্বরের প্রক্রিয়া রয়েছে কীভাবে সেটি মিষ্টি করা যায়। আপনি তা করতে পারবেননা। আপনি জল চান। পর্যাপ্ত জল আছে। অভাব কেন হবে? এখন আমরা শুনেছি ইউরোপে তারা জল আমদানির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছিলেন। (হাসি) তাই না? হ্যাঁ। ইংল্যান্ডে তারা আমদানির কথা ভাবছিল। এটা কি সম্ভব? (হাসি) তবে এই ধর্মান্ধ বিজ্ঞানীরা এমনটি ভাবেন। তারা আমদানি করবে। কেন না? ইংল্যান্ড জলে ঘেরা। জল নেবেন না কেন? না। নীরে করি বাস না মিটিল পিয়াস। "আমি জলে বাস করছি, তবে আমি তৃষ্ণায় মরে যাচ্ছি।" (হাসি) এই দুর্বৃত্তদের দর্শন ... বা ... আমার মনে হয় আমাদের শৈশবে আমরা একটি বই পড়তাম, একটি নৈতিক শিক্ষার বই, একটি গল্প বলাছিল যে একটি জাহাজ ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং তারা একটি নৌকার আশ্রয় নিয়েছিল, কিন্তু তাদের মধ্যে কিছু তৃষ্ণায় মারা গিয়েছিলেন কারণ তারা জল পান করতে পারেননি। সুতরাং এই জলে তারা বেঁচে ছিল, তবে তারা তৃষ্ণায় মারা গিয়েছিল।

সুতরাং আমাদের অবস্থান তেমনটাই। সব কিছু পূর্ণ। তবুও, আমরা মরছি এবং লড়াই করছি। কারণটা কি? কারণটি হল আমরা শ্রীকৃষ্ণকে অনুসরণ করি না। এটাই কারণঃ কৃষ্ণ ভাবনামৃতের অনুপস্থিতি। আমার গুরু মহারাজ বলতেন পুরো পৃথিবী সব কিছুতেই পরিপূর্ণ। অভাব কেবল কৃষ্ণ ভাবনামৃতের। একমাত্র অভাব। অন্যথায় কোনও অভাব নেই। সব কিছু পরিপূর্ণ। এবং আপনি যদি শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ গ্রহণ করেন তবে আপনি তত্ক্ষণাত সুখী হবেন। আপনি পুরো বিশ্বকে সুখী করতে পারবেন। শ্রীমদ্ভগবদগীতে শ্রীকৃষ্ণের এই নির্দেশ, তা একদম নিখুঁত। এটি অবশ্যই নিখুঁত হবে, কারণ এটি শ্রীকৃষ্ণের থেকে আসছে। এটি তথাকথিত বিজ্ঞানী তত্ত্ব নয়। না। নিখুঁত নির্দেশ। এবং যদি আমরা নির্দেশটি অনুসরণ করি, যদি আমরা কার্যকরীভাবে ব্যবহার করি, তাহলে পুরো বিশ্ব, বিশ্বম্‌ পূর্ণম্‌ সুখায়তে।