BN/Prabhupada 0506 - আপনার চোখ হতে হবে শাস্ত্রচক্ষু, বর্তমানের এই ভোতা চোখ নয়

Revision as of 07:45, 24 December 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0506 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.18 -- London, August 24, 1973

সুতরাং গাছপালার দুই মিলিয়ন প্রজাতি আছে। স্থাবর লক্ষ-বিংশতি কৃময়ো রুদ্র সংখ্যায়ঃ। এবং পোকামাকড়, তারা এগারো লক্ষ। সুতরাং এটি একটি অবাক করা বিষয়, যে বৈদিক সাহিত্য কীভাবে সমস্ত কিছুকে খুব সঠিকভাবে স্থাপন করে। নয় লক্ষ, এগারো লক্ষ, কুড়ি লক্ষ, ঠিক যেমন আছে। এটাকে বলা হয় উপলব্ধি। তাই আমরা একে স্বতঃসিদ্ধ বলে ধরে নিই। আমাদের সুবিধাটি হল, কারণ আমরা বেদকে কর্তৃত্ব হিসাবে গ্রহণ করি, সুতরাং জ্ঞান আছে, প্রস্তুত। যদি কেউ আমাকে বা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, "আপনি কি বলতে পারবেন জলের মধ্যে কতগুলি জীব রয়েছে?" এটা খুবই কঠিন। এমনকি জীববিজ্ঞানীরাও বলতে পারেন না। যদিও তারা বিশেষজ্ঞ। আমি বলতে পারি না। তবে আমাদের সুবিধা হচ্ছে, আমরা তৎক্ষণাৎ বলতে পারি, নয় লক্ষ যদিও আমি কখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিনি, ব্যক্তিগতভাবেও দেখিনি, তবে বৈদিক সাহিত্যের ব্যাখ্যার কারণে আমি আপনাকে সঠিকভাবে বলতে পারছি। সুতরাং বেদান্তসূত্রে বলা হয়েছে, আপনি সরাসরি কিছু দেখতে বা বুঝতে চান ... যেমন অনেকগুলি বদমাশ আসে, তারা চ্যালেঞ্জ জানায়, "আপনি কি আমাকে ভগবান দেখাতে পারবেন?" ... হ্যাঁ। আপনার সেই চোখ থাকলে আমরা আপনাকে ভগবান দেখাতে পারি। ভগবানকে ভিন্ন ধরণের চোখ দ্বারা দেখা যায়। এই চোখ নয়। তা শাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে। অতঃ শ্রীকৃষ্ণ নামাদি না ভবেদ গ্রাহ্যম ইন্দ্রিয়াঃ (শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত মধ্য ১৭।১৩৬)। ইন্দ্রিয়াঃ অর্থ এই ইন্দ্রিয়গুলি, এই ভৌতিক ইন্দ্রিয়গুলি। এই বৈষয়িক ইন্দ্রিয় দিয়ে আপনি সরাসরি অনুভব করতে পারবেন না, যে ভাগবনের রূপ কী, তাঁর গুণ কী, তিনি কি করেন। পরমেশ্বর সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানতে চাই। তবে শাস্ত্রে ভগবানের গুণাবলী বর্ণনা করে, ভগবনের রূপ, ভগবনের ক্রিয়াকলাপ। আপনি শিখতে পারেন। শাস্ত্রযোনিবৎ যোনি অর্থাৎ উৎস। শাস্ত্রযোনিবৎ শাস্ত্র-চক্ষু। শাস্ত্র আপনার চোখ হওয়া উচিত। এই ভোঁতা চোখ নয়। আমরা শাস্ত্রের দ্বারা, বইয়ের দ্বারাও অভিজ্ঞতা অর্জন করি।

সুতরাং আমাদের অনুমোদিত বইগুলির মাধ্যমে দেখতে হবে, যে বর্ণনা আমাদের ধারণার বাইরে। অচিন্ত্যঃ খলু যে ভাবা ন তাংস্তর্কেন যোজয়েৎ। তর্কেন যুক্তি দ্বারা, যা আপনার জ্ঞান উপলব্ধির বাইরে। অনেক জিনিস। এমনকি আমরা প্রতিদিন আকাশে অনেকগুলি গ্রহ, তারা দেখি, কিন্তু আমাদের কোনও তথ্য নেই। তারা সরাসরি চন্দ্র গ্রহ দেখতে যাচ্ছেন, তবে আশাহত ভাবে ফিরে আসছেন। এটা বলা খুব সন্দেহজনক। এবং তাদের ধারণা যুক্তিপ্রমাণ ব্যতিরেকে উপস্থাপিত : "এই গ্রহ ব্যতীত অন্য কোনও গ্রহে প্রাণ নেই " এগুলি ঠিক ধারনা নয়। শাস্ত্র-যোনি থেকে, যদি আপনি শাস্ত্রের মাধ্যমে দেখতে চান ... ঠিক চন্দ্র গ্রহের মতো। আমরা শ্রীমদ্ভাগবতম থেকে তথ্য পেয়েছি যে সেখানে, লোকজন, আছে তারা দশ হাজার বছর বাঁচে। এবং বছরের সেই পরিমাপ কী? আমাদের ছয় মাস তাদের এক দিনের সমান। এই দশ হাজার বছর, শুধু কল্পনা করুন। একে দৈব-বর্ষ বলা হয়। দৈব-বর্ষ মানে দেবী-দেবতাদের গণনা অনুসারে বছর। ঠিক ব্রহ্মার দিনের মতো, এটি হল দেবী-দেবতার গণনা। সহস্র যুগ পর্যন্তম যদ্‌ ব্রাহ্মণো বিদুঃ (শ্রীমদভগবদ্গীতা ৮।১৭) আমরা শ্রীমদ্ভগবদগীতার থেকে তথ্য পেয়েছি, শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, যে তারা দেবী-দেবতাদের বছর গণনা করে। প্রত্যেকের বছর গণনা করা হয়। এই বলা হয়... এটি আধুনিক বিজ্ঞান, আপেক্ষিক সত্য বা আপেক্ষিকতা সূত্রের দ্বারা স্বীকৃত। একটি ছোট পিপড়া, সেও একশো বছর বয়স পেয়েছে, পিঁপড়ের শত বছর এবং আমাদের শত বছরের আলাদা। একে বলা হয় আপেক্ষিক। আপনার দেহের আকার অনুসারে সবকিছু। আমাদের শত বছর এবং ব্রহ্মার শত বছর, এটি আলাদা। সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন এই ভাবে গণনা করুন: সহস্র যুগ পর্যন্তম যদ্‌ ব্রহ্মণো বিদুঃ (শ্রীমদভগবদ্গীতা ৮।১৭)