BN/Prabhupada 0538 - আইন মানে রাষ্ট্রের তৈরি করা নিয়ম। আপনি বাড়ি বসে আইন বানাতে পারেন না

Revision as of 06:17, 27 December 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0538 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Janmastami Lord Sri Krsna's Appearance Day Lecture -- London, August 21, 1973

সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ আমাদের শিক্ষা শিক্ষা দেওয়ার জন্য আবির্ভূত হন। যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির ভবতি ভারত (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৪।৭)। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, " প্রিয় অর্জুন, আমি অবতীর্ণ হই যখন ধর্মের গ্লানি হয়।" ধর্মস্য গ্লানির ভবতি। আর ধর্ম কী? ধর্মের সরল সংজ্ঞা হল ধর্মম্‌ তু সাক্ষাদ্‌ ভগবত প্রণিতম্‌ (শ্রীমদ্ভগবতম ৬।৩।১৯)। এটাই হল ধর্ম। ধর্মম্‌ তু সাক্ষাদ্‌ ভগবৎ প্রণিতম্‌ (শ্রীমদ্ভাগবতম ৬।৩।১৯)। ঠিক যেমন আইন বলতে কি বোঝায়? আইন অর্থাৎ রাষ্ট্র দ্বারা প্রদত্ত আদেশ। আপনি ঘরে আইন বানাতে পারবেন না। সেটা সম্ভব না। সরকার আপনাকে যেই নিয়মই দিক, " আপনাদের সেইরকম আচরণ করা উচিত", সেটাই হল আইন। একইভাবে, ধর্ম মানে ভগবান প্রদত্ত দিকনির্দেশ। তা হল ধর্ম। সাধারণ সংজ্ঞা। তুমি ধর্ম তৈরি কর। আমি এই ধর্ম সৃষ্টি করেছি, অন্য মানুষ সৃষ্টি করে অন্য ধর্ম; এগুলি ধর্ম নয়। অতএব, যেখানে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা শেষ হয়, সর্ব ধর্মান্‌ পরিত্যজ্য মাম্‌ একম্‌ শরণম্‌ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৮।৬৬), এই হল ধর্ম - শ্রীকৃষ্ণের কাছে আত্মসমর্পণ করা। অন্য কোনও ধর্ম, তা ধর্ম নয়। নইলে শ্রীকৃষ্ণ কেন সর্ব ধর্মান পরিত্যজ্য করতে বলবেন: "ছেড়ে দিন"? তিনি বলেছিলেন যে ধৰ্ম সংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৪.৮): "আমি ধর্মের নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য আবির্ভূত হই।" এবং সর্বশেষে তিনি বলেছেন, সর্ব ধর্মান পরিত্যজ্য। তার মানে আমরা তথাকথিত ধর্মাবলম্বী যা আমরা তৈরি করেছি, মনুষ্যনির্মিত ধর্ম, তা ধর্ম নয়। ধর্ম মানে ভগবান যা নিয়ম দান করেন। কিন্তু ভগবান কী এবং তাঁর বাক্য কী তা আমরা বুঝতে পারি না। এটাই আধুনিক সভ্যতার ত্রুটি। কিন্তু অবস্থা হচ্ছে, ভগবান আছেন - আমরা গ্রহণ করব না। শান্তির সম্ভাবনা কোথায়? আদেশ আছে। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, পরমেশ্বর, ভগবান উবাচ। ব্যাসদেব লিখেছেন ভগবান উবাচ। ভগবান কি তা জানা উচিত। ব্যাসদেব শ্রীকৃষ্ণ উবাচ লিখতে পারতেন। না, তিনি বলেছেন ... যদি কেউ শ্রীকৃষ্ণকে ভুল বোঝে, তাই তিনি প্রতিটি পদে পদে, প্রতিটি শ্লোকেই লিখেছেন শ্রী ভগবান উবাচ। তাই ভগবান আছেন। ভগবান কথা বলছেন। সকল আচার্য ভগবানকেই গ্রহণ করেছেন। রামানুজাচার্য, মাধবাচার্য, বিষ্ণু স্বামী। সর্বশেষে, ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এমনকি শঙ্করাচার্যও, তিনিও শ্রীকৃষ্ণকে গ্রহণ করেছেন - স ভগবান স্বয়ম্‌ কৃষ্ণ। সুতরাং আধুনিক আচার্যদের রায়, এবং অতীতেও, ব্যাসদেব, নারদ, অসিত, সকলেই শ্রীকৃষ্ণকে গ্রহণ করেছেন, পরম ভগবান। অর্জুন যিনি শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে শুনেছিলেন, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বোঝার পরে তিনি বলেছিলেন, পরম ব্রহ্ম পরম ধাম পবিত্রম পরমম ভবান পুরুষম্‌ আদ্যম্‌ শাশ্বতম্‌ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১০।১২)।

সুতরাং সব আছে। বিশেষত ভারতে ভগবানকে বোঝার জন্য আমরা এত সম্পদ পেয়েছি। সাধারণ জিনিস। সব কিছু সেখানে তৈরি। তবে আমরা গ্রহণ করি না। তাহলে এ জাতীয় রোগের প্রতিকার কী? আমরা শান্তির সন্ধান করছি, তবে বাস্তবে আমাদের শান্তি দিচ্ছে এমন কোনও কিছুই আমরা গ্রহণ করি না। এটি আমাদের রোগ। তাই এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন জাগ্রত করার চেষ্টা করছে প্রত্যেকের হৃদয়ে সুপ্ত কৃষ্ণ ভাবনামৃতকে। অন্যথায়, কীভাবে এই ইউরোপীয়রা এবং আমেরিকানরা এবং অন্যান্য দেশবাসী, তারা চার পাঁচ বছর আগে শ্রীকৃষ্ণের কথা কখনও শুনেনি, কীভাবে তারা কৃষ্ণ ভাবনামৃতকে এত গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন? কৃষ্ণ ভাবনামৃত সবার হৃদয়ে আছে। এটি কেবল জাগ্রত করতে হবে। শ্রীচৈতন্য চরিতামৃতে এটি বর্ণিত হয়েছে:

নিত্য সিদ্ধ কৃষ্ণ ভক্তি সাধ্য কভু নয়
শ্রবণাদি শুদ্ধ চিত্তে করয় উদয়
(শ্রী চৈতন্য চরিতামৃত মধ্য ২২।১০৭)।

এটা জাগ্রত হয়। শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভালবাসা, শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি আছে, প্রত্যেকের অন্তরে, কিন্তু জীব তা ভুলে গেছে। সুতরাং এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলনটি কেবল সেই কৃষ্ণ ভাবনামৃতকে জাগ্রত করার জন্যই আছে। এই প্রক্রিয়া। ঠিক যেমন আপনি যখন ঘুমাচ্ছেন, আপনার, আমাকে আপনাকে উচ্চস্বরে ডাকতে হবে। "অমুক, অমুক, আপনি উঠুন। আপনার কাজ আছে। " আপনি যখন ঘুমাচ্ছেন তখন অন্য কোনও ইন্দ্রিয় কাজ করবে না। তবে কান কাজ করবে। অতএব, এই যুগে মানুষ এতটা পতিত তারা কিছুই শুনবে না, যদি আমরা এই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করি, তাহলে তার ভেতরে কৃষ্ণভাবনামৃত জাগ্রত হবে। এটি খুব ব্যবহারিক।