BN/Prabhupada 0540 - সবচেয়ে মহিমান্বিত হিসেবে পূজিত হওয়াটা বেশ বৈপ্লবিক

Revision as of 08:03, 28 December 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Sri Vyasa-puja -- Hyderabad, August 19, 1976

শ্রীপাদ ​​সম্পৎ ভট্টাচার্য, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ: এই ব্যাস পূজা অনুষ্ঠানের সময় এখানে আসার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই ব্যাস-পূজা ... এই আসন যেখানে তারা আমাকে বসিয়েছে, এটিকে ব্যাসাসন বলা হয়। গুরু ব্যাসদেবের প্রতিনিধি। আপনারা প্রত্যেকেই ব্যাসদেবের নাম শুনেছেন, বেদব্যাস। সুতরাং যিনি মহান আচার্য, ব্যাসদেবের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁকে ব্যাসাসনে বসতে দেওয়া হয়। তাই ব্যাস-পূজা ... গুরু ব্যাসদেবের প্রতিনিধি, তাই তাঁর আবির্ভাব তিথি ব্যাসপূজা হিসাবে গৃহীত হয়।

এখন আমাকে অবশ্যই আমার অবস্থানটি ব্যাখ্যা করতে হবে কারণ এই দিনগুলিতে, একজন ব্যক্তিকে সর্বাধিক উন্নত ব্যক্তিত্ব হিসাবে উপাসনা করা এক রকমের বিপ্লবের মতো। কারণ তারা গণতন্ত্র পছন্দ করে, তাই ওদের কাজ হচ্ছে ভোটের মাধ্যমে যে কোন একটা বদমাশকে নির্বাচিত করে তবে আমাদের পদ্ধতি, গুরু-পরম্পরা ব্যবস্থা আলাদা। আমাদের পদ্ধতি, যদি আপনি বৈদিক জ্ঞান গুরু-পরম্পরার মাধ্যমে গ্রহণ না করেন, তা অনর্থক। আপনি বৈদিক নির্দেশের নিজস্ব ব্যাখ্যা তৈরি করতে পারেন না। ঠিক যেমন গোবর। গোবর হল একটি প্রাণীর মল। বৈদিক নির্দেশ হল আপনি যদি গোবরকে স্পর্শ করেন ..., কোনও প্রাণীর মল, আপনাকে অবিলম্বে স্নান করতে হবে এবং নিজেকে শুদ্ধ করতে হবে। তবে বৈদিক নির্দেশ হল, গোবর যে কোনও অশুদ্ধ জায়গাকে শুদ্ধ করতে পারে। বিশেষত আমরা হিন্দুরা, আমরা এটি গ্রহণ করি। যুক্তিতে আসলে এটি পরস্পরবিরোধী। প্রাণীর মল অশুদ্ধ, এবং বৈদিক নির্দেশ হল গোবর শুদ্ধ। আসলে আমরা গোবর এত শুদ্ধ বলে গ্রহণ করি, যে গোবর দিয়ে যে কোনও জায়গা শুদ্ধ করা যায় । পঞ্চ-গব্যে গোবর আছে, তাতে গোমূত্র আছে।

সুতরাং বৈদিক নির্দেশ পরস্পরবিরোধী মনে হয়। তবুও আমরা গ্রহণ করি কারণ এটি বৈদিক আদেশ। তা হল ...তা হল বেদকে গ্রহণ করা। ঠিক শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার মতো। অনেক বদমাশ আছে, তারা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাকে কেটে ছেটে দেয় "আমি এটি পছন্দ করি; আমি এটি পছন্দ করি না।" না অর্জুন বলেছেন সর্বম এতদ্‌ ঋতম্‌ মন্যে (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১০।১৪)। তা হল বেদ বোঝা। যদি কোনও দুর্বৃত্ত কাটে, "আমি এটি পছন্দ করি না, আমি ব্যাখ্যা করি" এটি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা নয়। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মানে আপনাকে যথাযথ রূপে গ্রহণ করতে হবে। তা হল শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। আমরা তাই শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যথাযথ উপস্থাপন করছি। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার বক্তা, তিনি বলেছেন স কালেনেহ মহতা যোগো নষ্ট পরন্তপ। "প্রিয় অর্জুন, এই শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বিজ্ঞান," ইমম্‌ বিবস্বতে যোগম্‌ প্রোক্তাবান্‌ অহম্‌ অব্যয়ম (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৪।১)। "আমি সর্বপ্রথম সূর্য দেবকে বলেছিলাম এবং সে তাঁর পুত্রকে বলেছিলেন," বিবস্বান মনবে প্রাহ। বৈবস্বত মনুকে। মনুর ইক্ষ্বাকবে অব্রবীৎ এবম্‌ পরম্পরা প্রাপ্তম্‌ ইমম্‌ রাজর্ষয়ো বিদুঃ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৪।২)। এই প্রক্রিয়া। স কালেনেহ যোগো নষ্ট পরন্তপ। এমন কেউ যে এই পরম্পরা পদ্ধতিতে আসে না, সে যদি বৈদিক সাহিত্যের কোনও ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে তবে তা অনর্থক। এটি অনর্থক। এর কোন অর্থ নেই। যোগো নষ্ট পরন্তপ। সুতরাং এসবই চলছে। এর কোন অর্থ নেই।