BN/Prabhupada 0552 - জীবন ও মৃত্যুর বারংবার চক্রকে বন্ধ করতে হবে - আমি বিষ খাচ্ছি

Revision as of 09:28, 27 December 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0552 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1968 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.62-72 -- Los Angeles, December 19, 1968

প্রভুপাদঃ জানিয়া শুনিয়া বিষ খাইনু। আমি এটা জানি, আমি শুনছি। তবুও, ... জানিয়া শুনিয়া বিষ...ঠিক যেমন চোর। জানিয়া শুনিয়া, এই শব্দগুলি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। জানিয়া মানে, জ্ঞাত হওয়া এবং শুনিয়া মানে শ্রবণ করা। সুতরাং একটি অভ্যাসগত চোর, সে জানে যে "যদি আমি চুরি করি তবে আমাকে কারাগারে রাখা হবে।" আর সে শাস্ত্র থেকেও শুনেছে যে "চুরি করো না। নাহলে তোমাকে নরকে নিক্ষেপ করা হবে।" সুতরাং সে শাস্ত্র থেকে শুনেছে এবং বাস্তবেও দেখেছে। বাস্তবে তার অভিজ্ঞতাও আছে, তবুও কারাগারের জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে সে, সে আবারও একই ভুল করে। জানিয়া শুনিয়া বিষ খাইনু। আমরা জানি, আমরা শাস্ত্র থেকে, প্রামাণ্য ব্যক্তিদের থেকে, বৈদিক সাহিত্য থেকে শুনছি, যে " আমি এই দুর্দশাগ্রস্ত যন্ত্রণাদায়ক জড় দেহটি পেয়েছি ত্রিতাপ যন্ত্রণা ভোগ করার জন্য; তবুও, জন্ম-মৃত্যুর এই পুনরাবৃত্তিটি বন্ধ করার বিষয়ে আমি খুব বেশি উদ্বিগ্ন নই। আমি বিষ খাচ্ছি। " জানিয়া শুনিয়া বিষ খাইনু। হরি হরি বিফলে জনম গোয়াইনু। এই গানগুলি খুব শিক্ষামূলক। অতি সহজেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে, আমরা বিষ পান করছি। চালিয়ে যাও।

তমালকৃষ্ণ: " যিনি কৃষ্ণ ভাবনায় ভাবিত নন, তিনি যতই শক্তিশালী হোন না কেন কৃত্রিম দমন প্রক্রিয়া দ্বারা ইন্দ্রিয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টায়, শেষ পর্যন্ত তার অধঃপতন নিশ্চিত, কারণ ইন্দ্রিয় তৃপ্তির সামান্যতম চিন্তাও তাকে তার আকাঙ্ক্ষাগুলি তুষ্ট করতে পরিচালিত করবে। " ( শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২।৬৩ ) :"ক্রোধ থেকে সম্মোহের সৃষ্টি হয় এবং স্মৃতিবিভ্রম সম্মোহের দ্বারা ঘটে থাকে। যখন স্মৃতিবিভ্রম হয় তখন বুদ্ধিনাশ হয়, এবং যখন বুদ্ধিনাশ হয় একজন আবার জড় জগতের অন্ধকূপে অধঃপতিত হয়। "

প্রভুপাদঃ আমাদের অবস্থান হল, আমরা এই দেহ নিয়ে গঠিত। দেহ অর্থাৎ ইন্দ্রিয় এবং ইন্দ্রিয়ের নিয়ন্ত্রণকারী বা যাকে বলা হয় পরিচালক, ইন্দ্রিয়ের পরিচালক হলো মন। এবং মন কে পরিচালিত করা হয়, চিন্তা, অনুভূতি এবং ইচ্ছা দ্বারা, মনোবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞানের বিজ্ঞান, সেটি বুদ্ধির অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। আর বুদ্ধির উপরে, আমি অবস্থিত। আমি হলাম একটি আত্মা। সুতরাং আমরা কীভাবে এই মায়ার শিকার হই, তা এখানে বর্ণিত হয়েছে, যে ক্রোধ থেকে সম্মোহের সৃষ্টি হয় এবং সম্মোহ থেকে স্মৃতিবিভ্রম হয়। স্মৃতিবিভ্রম। আমি সম্পূর্ণভাবে ভুলে গেছি যে আমি এই দেহ নই, আমি আত্মা, অহং ব্রহ্মস্মি; আমি পরম ব্রহ্ম, পরমাত্মা, পূর্ণ পরমেশ্বরের অপরিহার্য অংশ। তা আমি ভুলে গেছি। এবং যখন স্মৃতিবিভ্রম হয়, এবং যেইমাত্র আমি ভুলে যাই যে আমি আত্মা, আমি নিজেকে এই ভৌতিক জগতের, মায়ার সাথে পরিচিতি প্রদান করি। বুদ্ধি নাশ হয়। মনের ক্রিয়াকলাপ পরিচালনা করতে আমার বুদ্ধি ব্যবহার করা উচিত - চিন্তাভাবনা করা, অনুভূতি হওয়া এবং ইচ্ছা করা - আর যেহেতু আমার মন নিয়ন্ত্রিত নয়, আমার ইন্দ্রিয়গুলি নিয়ন্ত্রিত নয়, তাই আমি পতিত। এটি পুরো শারীরিক গঠনের বিশ্লেষণ। চালিয়ে যাও।

তমালকৃষ্ণ: ( শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২।৬৪) : " যে নিয়ম দ্বারা নিজের ইন্দ্রিয়গুলিকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারে এবং যে আসক্তি ও বিদ্বেষ থেকে মুক্ত সে ভগবানের কৃপা লাভ করতে পারে। "

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। আমরা অধঃপতিত হয়েছি। আমরা কীভাবে অধঃপতিত হয়েছি? ইন্দ্রিয় উপভোগের স্তরে অধঃপতিত হয়েছি। সুতরাং তোমাকে ইন্দ্রিয়ের ঊর্দ্ধে উঠতে হবে, ইন্দ্রিয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেটিই আত্ম-উপলব্ধির উপায়। তুমি যোগ অনুশীলন কর বা ভক্তি, ভক্তিমূলক সেবা, প্রথমেই ইন্দ্রিয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।