BN/Prabhupada 0554 - এই জড় জগতের প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে

Revision as of 09:51, 27 December 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0554 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1968 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.62-72 -- Los Angeles, December 19, 1968

তমালকৃষ্ণঃ ( শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২।৬৭ )ঃ "জলের উপর একটি নৌকা যেমন প্রবল বাতাসে ভেসে যায়, একইভাবে, ইন্দ্রিয়গুলির যেকোনো একটিতে মন স্থির হয়ে যায় সেটি একটি মানুষের বুদ্ধিকে বয়ে নিয়ে যেতে পারে। " প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। যদি তুমি ... ধর প্রশান্ত মহাসাগরে তুমি একটি নৌকার ওপর আছ। বা একটি সুন্দর আসনে, তবে তোমার যদি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা না থাকে, প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ঢেউ তোমাকে মুহূর্তের মধ্যে সমুদ্রের একদম তলদেশে নিয়ে যেতে পারে। সুতরাং এটি প্রয়োজন। আমরা এই মায়িক বিশ্বের প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে আছি। সংসার সমুদ্র। একে সমুদ্র বলা হয়। সুতরাং আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা না থাকলে যে কোনও মুহুর্তে আমাদের নৌকাটি উল্টে যেতে পারে। হ্যাঁ।

তমালকৃষ্ণ: ( শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২।৬৮ ) : "অতএব, হে মহাবাহু, যার ইন্দ্রিয়গুলি তাদের বিষয়বস্তুগুলির থেকে সংযত থাকে সে অবশ্যই স্থির বুদ্ধি।"

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। এখন, যার ইন্দ্রিয়গুলো সংযত ... এই মানবজীবন ইন্দ্রিয়গুলিকে সংযত করার জন্য। তপঃ। এটাকে তপস্যা, ব্রত বলা হয়। ধরা যাক আমি এক ধরণের ইন্দ্রিয়তৃপ্তিতে অভ্যস্ত। এখন, আমি কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ করেছি। আমার গুরুদেব বা শাস্ত্র বলছে, "এটি করবে না।" সুতরাং শুরুতে, আমি কিছুটা অসুবিধা বোধ করতে পারি, তবে তুমি যদি তা সহ্য করতে পার তবে তা তপস্যা। এটি হল তপস্যা। তপস্যা মানে আমি কিছু অসুবিধা বোধ করছি, শারীরিকভাবে, তবে আমি সহ্য করছি। তাকে তপস্যা বলা হয়। আর জীবনের এই মানব রূপটি সেই তপস্যার জন্য। এই নয় যে আমার ইন্দ্রিয়গুলি এই তৃপ্তির দাবি করছে তাই, আমি অবিলম্বে তা প্রদান করব। না। আমি নিজেকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেব যাতে আমার ইন্দ্রিয়গুলি দাবি করতে পারে, " প্রিয় মহাশয়, আমাকে এই সুবিধাটি দিন," আমি বলব, "না, আপনি তা পেতে পারেন না।" একেই গোস্বামী বা স্বামী বলা হয়। বর্তমান সময়ে, প্রত্যেকেই, আমরা, আমরা আমাদের ইন্দ্রিয়গুলোকে স্বামী বা মালিক বানিয়ে ফেলেছি, আর যখন তুমি প্রকৃত অর্থে ইন্দ্রিয়গুলোর মালিক হবে, তখন তুমি স্বামী বা গোস্বামী হবে। এই হল স্বামী ও গোস্বামীর তাৎপর্য। এটা পোশাক নয়। যার নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা রয়েছে, যিনি ইন্দ্রিয় দ্বারা চালিত হন না, যিনি ইন্দ্রিয়ের দাস নন। আমার জিহ্বা হুকুম দিচ্ছে, "দয়া করে আমাকে সেই ভোজনশালায় নিয়ে যাও এবং ভাজা মাংসের টুকরোগুলি খাওয়াও।" সেই ভাজা মাংসের টুকরো কি? ভাজা মাংসের টুকরো?

ভক্ত: ভাজা মাংসের টুকরো

প্রভুপাদ: ভাজা মাংসের টুকরো? সেই বানানটি কী?

ভক্ত: ভাজা মাংসের টুকরো!

প্রভুপাদঃ সুতরাং যাই হোক ... বা সেই ভাজা মুরগির মাংস। হ্যাঁ। জিহ্বা আমাকে হুকুম দিচ্ছে। কিন্তু তুমি যদি তোমার জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পার, "না। আমি তোমাকে রসগোল্লা দেব। সেখানে যেও না।"(হাসি) তখন তুমি ইন্দ্রিয়ের স্বামী হয়ে উঠবে। দেখেছো? অন্যেরা কেবলমাত্র এইটুকুন চেষ্টা করছে যে "সেখানে যাবে না।" তা অসম্ভব। জিহ্বার অবশ্যই সুন্দর কিছু পাওয়া উচিত। অন্যথায় সেটি সম্ভব হয় না। সেটা কৃত্রিম। জিহ্বা, তুমি যদি এই ভাজা মুরগির মাংস বা ভাজা মাংসের টুকরো বা এটা সেটার থেকে আরও ভালো কিছু তাকে দাও, তবে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। এটাই হচ্ছে নীতি। এটাই আমাদের কৌশল। আমরা এটি দিতে পারি, কি যেন বলে ভাত দিয়ে পনির ভাজা। কত সুন্দর সেটা। সে মাংস খাওয়া ভুলে যাবে। সুতরাং এটি হল নীতি, কৃষ্ণভাবনামৃত। সমস্ত ইন্দ্রিয়গুলিকে কিছু সরবরাহ করা উচিত। কৃত্রিমভাবে সেটি বন্ধ করা নয়। সেটা সম্ভব নয়। সেটা সম্ভব নয়। অন্যেরা, তারা কেবল কৃত্রিমভাবে ইন্দ্রিয়ের কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। না। এটা সম্ভব নয়।