BN/Prabhupada 0574 - অনুমোদন ছাড়া আপনি কোন দেহকে হত্যা করতে পারেন না, সেটি পাপময়: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0574 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 7: Line 7:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0573 - I am Prepared to Talk with any God Conscious Man|0573|Prabhupada 0575 - They are Kept in Darkness and Ignorance|0575}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0573 - যে কোনও ভগবৎ ভাবনাময় মানুষের সাথে আমি কথা বলতে প্রস্তুত|0573|BN/Prabhupada 0575 - ওরা অন্ধকারে আর অজ্ঞানতায় রয়েছে|0575}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->

Latest revision as of 08:02, 1 January 2022



Lecture on BG 2.19 -- London, August 25, 1973

"আত্মার পক্ষে কখনও জন্ম হয় না এবং মৃত্যুও হয় না। আবার কখনও অস্তিত্বে আসলেও থাকলেও সে কখনও অস্তিত্বে আসা বন্ধ করে না। আত্মা অজ, নিত্য, শ্বাশত, অমর ও অনাদি। শরীরকে হত্যা করা গেলেও তাকে হত্যা করা হয় না। "

সুতরাং, বিভিন্ন উপায়ে শ্রীকৃষ্ণ আত্মাকে কীভাবে অমর, তা আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। যা এনাম্‌ বেত্তি হন্তারম্‌ (শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২।১৯)। যখন যুদ্ধ হয়, সুতরাং যদি একজন মারা যায় বা ... সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে কেউ যদি মনে করে যে "এই ব্যক্তি এই মানুষটিকে হত্যা করেছে," সুতরাং, বা "এই ব্যক্তি এই মানুষটিকে হত্যা করতে পারে", এই ধরণের জ্ঞান সঠিক নয়। কেউ কাউকে মারে না। তাহলে কসাইরা, তারা বলতে পারে যে "তাহলে আপনি কেন অভিযোগ করছেন যে আমরা হত্যা করছি?" তারা দেহটির হত্যা করছে, তবে যখন শাস্ত্র নির্দেশ আছে যে "আপনি হত্যা করবেন না" তখন আপনি হত্যা করতে পারবেন না এর অর্থ এমনকি আপনি কোন দেহকে অনুমোদন ছাড়াও হত্যা করতে পারবেন না। আপনি মারতে পারবেন না। যদিও আত্মাকে হত্যা করা হয় না, দেহকে হত্যা করা হয়, তবুও আপনি অনুমতি ছাড়াই শরীর হত্যা করতে পারবেন না। তা পাপ। উদাহরণস্বরূপ, কোনও ব্যক্তি কোনও অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছেন। সুতরাং কোনও উপায় বা অন্য কোনও উপায় আপনি তাকে এ থেকে দূরে সরিয়ে রাখেন, অবৈধভাবে, আপনি তাকে সরিয়ে রাখেন। লোকটি বাইরে গিয়ে কোথাও আশ্রয় নেবে। এটি একটি সত্য। তবে আপনি তাকে তার সুস্পষ্ট অবস্থান থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন বলে আপনি অপরাধী। আপনি বলতে পারবেন না, "যদিও আমি তাড়িয়ে দিয়েছি করেছি, তবুও সে কোন একটা জায়গা পাবে।" সেটা হয়ত ঠিক আছে, কিন্তু আপনার কোন অধিকার নেই তাকে সেই স্থান থেকে তাড়িয়ে দেবার সেই মানুষটি আইনগতভাবে তার বাড়িতে ছিলেন এবং আপনি তাকে জোর করে বের করে দিয়েছেন বলে আপনি অপরাধী, আপনার শাস্তি হওয়া উচিত।

সুতরাং এই যুক্তি কসাই বা প্রাণী খুনি বা কোনও ধরণের ঘাতক, তারা যুক্তি রাখতে পারে না। যে "এখানে, শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতা বলে যে আত্মার কখনও হত্যা হয় না, ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে (শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২।২০), এমনকি দেহ ধ্বংস করার পরেও। তাহলে আপনি কেন অভিযোগ করছেন যে আমরা খুন করছি? " সুতরাং এটি যুক্তি, আপনি এমনকি শরীরকে হত্যা করতে পারবেন না। এটি অনুমোদিত নয়। তা পাপ। উভৌ তৌ ন বিজানিতো নায়ম্‌ হন্তি ন হন্যতে (শ্রীমদ্ভগবদগীতা 2.19) সুতরাং কেউ কাউকে হত্যা করে না, কাউকে অন্যের হাতে হত্যা করা হয় না। এটি একটি বিষয়। আবার, অন্যভাবে, শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, না জায়তে: জীবিত সত্তা কখনই জন্ম নেয় না। জন্ম দেহেরই বা মৃত্যু দেহেরই। জীবন্ত সত্তা, আধ্যাত্মিক স্ফুলিঙ্গ, তারপর এটি শ্রীকৃষ্ণের অপরিহার্য অংশ হওয়ায়, শ্রীকৃষ্ণ যেমন জন্ম নেন না, মরেন না ... অজো অপি সন্ন অব্যয়াত্মা (শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৪.৬)। আপনি চতুর্থ অধ্যায়ে খুঁজে পাবেন। অজো অপি। শ্রীকৃষ্ণ অজ। অজ মানে যে কখনই জন্ম নেয় না। একইভাবে, আমরা শ্রীকৃষ্ণের অপরিহার্য অংশ হয়েও আমরা কখনই জন্মগ্রহণ করি না। জন্ম এবং মৃত্যু এই দেহের, এবং আমরা জীবনের শারীরিক ধারণায় এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছি যে যখন দেহের জন্ম বা মৃত্যু ঘটে আমরা বেদনা এবং আনন্দ অনুভব করি। অবশ্যই কোন আনন্দ নেই। জন্ম এবং মৃত্যু, এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। কারণ ... এটি ইতিমধ্যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আত্মার চেতনা সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। সুতরাং, এই শরীরের কারণে ব্যথা এবং আনন্দ অনুভূত হয়ে। তাই শ্রীকৃষ্ণ ইতিমধ্যে পরামর্শ দিয়েছেন যে এ জাতীয় ব্যথা এবং আনন্দ, মাত্রা স্পর্শাস তু কৌন্তেয় (শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২।১৪) কেবলমাত্র ত্বকে স্পর্শ করে, একজনকে খুব বেশি বিরক্ত হয়া উচিত নয়। তাম্স তিতিক্ষস্ব ভারত। এইভাবে যদি ভাবি আমরা আমাদের অবস্থান, আত্ম-উপলব্ধি, আমরা কীভাবে শরীর থেকে পৃথক ... আসলে, এটি হল ধ্যান। আমরা যদি নিজের এবং দেহ সম্পর্কে খুব গুরুত্বের সাথে চিন্তা করি তবে তা আত্ম-উপলব্ধি। আত্ম-উপলব্ধি মানে আমি এই দেহ নই, আমি অহম্‌ ব্রহ্মস্মি, আমি আত্মা। এটাই আত্ম-উপলব্ধি।