BN/Prabhupada 0672 - যখন তুমি কৃষ্ণভাবনাময়, তোমার সাফল্য নিশ্চিত

Revision as of 11:37, 5 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0672 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1969 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 6.16-24 -- Los Angeles, February 17, 1969

ভক্তঃ জড় বিষয়ের সংস্পর্শ দ্বারা যে সমস্ত দুঃখ, তা থেকে এটিই হচ্ছে প্রকৃত মুক্তি। এই যোগ পন্থা দৃঢ়তা এবং নির্ভীক চিত্তে অনুশীলন করা উচিত।

চব্বিশ নম্বরঃ অবিচল দৃঢ়তা ও শ্রদ্ধার সাথে যোগীর উচিত নিজেকে যোগানুশীলনে নিযুক্ত করা। অহঙ্কার থেকে উদ্ভূত সমস্ত জড় বাসনা সমূহ সমূলে পরিত্যাগ করা উচিত এবং এইভাবে মনের দ্বারা সকল দিকে ধাবমান তার ইন্দ্রিয়সমূহ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। (গীতা ৬/২৪) তাৎপর্যঃ যোগীকে দৃঢ় সঙ্কল্প ও ধৈর্য সহকারে অবিচলিত থেকে যোগ অভ্যাস করতে হয়।

শ্রীল প্রভুপাদঃ এই দৃঢ়তা অনুশীলন করা যায় অথবা অর্জন করা যায়, সেই রকম ব্যক্তির পক্ষে তা সম্ভব যে যৌন জীবনে লিপ্ত হয় না। তার দৃঢ়তা অত্যন্ত শক্তিশালী। এই কারণে শুরুতে বলা হয়েছে যে, 'যৌন জীবন ত্যাগ' হচ্ছে দৃঢ়তা। অথবা নিয়ন্ত্রিত যৌন জীবন। যদি যৌনজীবনে লিপ্ত হও, তাহলে তোমার দৃঢ়তা আসবে না। চঞ্চল অস্থায়ী দৃঢ়তা। তাই যৌন জীবন ত্যাগ করতে হবে অথবা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যদি সম্ভব পুরোপুরি ত্যাগ করা, না হলে নিয়ন্ত্রণ করা। তাহলেই তুমি দৃঢ় হতে পারবে। কারণ মূলত এই দৃঢ়তাটি দেহ সম্পর্কিত ব্যাপার। তাই এই সকল হচ্ছে পন্থা যার দ্বারা দৃঢ়তা লাভ করা যায়। পড়তে থাকো।

ভক্তঃ এক সময় না এক সময় সাধনার সিদ্ধি অবশ্যই হবে - এভাবেই গভীর ধৈর্য সহকারে অনুসরণ করতে হবে সাফল্য লাভে বিলম্ব হলে হতোদ্যম হওয়া উচিত নয়।

শ্রীল প্রভুপাদঃ দৃঢ়তা মানে হচ্ছে ধৈর্য এবং অধ্যবসায় সহকারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। "আমি আমার কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছি না, ওহ্‌ কিসের আর কৃষ্ণভাবনামৃত। আমি এই সব ছেড়ে দেব।" না। দৃঢ় হতে হবে। এটিই বাস্তব। যেহেতু শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন তাই এটি অবশ্যই হবে। একটি খুব সুন্দর উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। একটি মেয়ের তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহ হয়েছে। সে সন্তান পেতে পাগল। যদি সে ভাবে, "এখন আমি বিবাহিত। আমাকে এখনই একটি সন্তান পেতে হবে।" সেটি কি সম্ভব? ধৈর্য ধরতে হবে। তাকে তার স্বামীর বিশ্বস্ত স্ত্রী হতে হবে, স্বামীর সেবা করতে হবে এবং তার প্রতি ভালবাসাকে বৃদ্ধি করতে হবে। আর যেহেতু তারা স্বামী স্ত্রী, নিশ্চয়ই তারা সন্তান পাবে। কিন্তু অধৈর্য হলে চলবে না। ঠিক তেমনই যখন তুমি কৃষ্ণভাবনাময়, তোমার সিদ্ধি নিশ্চিত। কিন্তু তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে। এবং দৃঢ়তা থাকতে হবে যে "আমাকে এটি করতেই হবে, ধৈর্য হারালে হবে না"। সেই অধৈর্য দৃঢ়তার অভাবের কারণেই হয়। আর কি ভাবে সেই দৃঢ়তার অভাব হল? অতিরিক্ত যৌন জীবনের জন্য। এসব কিছুই পরিণাম। পড়তে থাকো ।

ভক্তঃ দৃঢ় সঙ্কল্পকারী যোগীর জন্য সাফল্য নিশ্চিত। ভক্তিযোগ সম্বন্ধে শ্রীল রূপ গোস্বামী বলেছেন - 'ভক্তিযোগে সাফল্য সেই ব্যক্তির জন্য যিনি পূর্ণ উৎসাহ, ধৈর্য এবং দৃঢ় বিশ্বাস সহকারে, ভক্তসঙ্গে ভক্তির অনুকূল কর্ম করে এবং কেবল সত্ত্বগুণময়ী কর্ম করেন।"

শ্রীল প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, পড়তে থাকো।