BN/Prabhupada 0915 - সাধু আমার হৃদয়, এবং আমিও সাধুর হৃদয়

Revision as of 09:26, 28 June 2021 by Soham (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Bengali Pages - 207 Live Videos Category:Prabhupada 0915 - in all Languages Categor...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730421 - Lecture SB 01.08.29 - Los Angeles

ভক্তঃ অনুবাদঃ "হে ভগবান, কেউ আপনার চিন্ময় লীলা বুঝতে পারেন না। যা মানুষের মতো দেখায় এবং তাই জন্য বিভ্রান্তিকর। আপনার কোন নির্দিষ্ট পক্ষপাতিত্বের কিছু নেই, এবং আপনার ঈর্ষা করারও কিছু নেই। মানুষ কেবল কল্পনা করতে পারে যে আপনি পক্ষপাতিত্ব করেন।"

প্রভুপাদঃ তাই ভগবদ-গীতায় ভগবান বলেছেন, পরিত্রাণায় সাধুনাম বিনাশায় চ দুষ্কৃতম (ভ.গী.৪.৮)। তাই দুটি উদ্দেশ্য। যখন ভগবান অবতার নেন, উনার দুটি উদ্দেশ্য। একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে পরিত্রাণায় সাধুনাম, এবং বিনাশায়... এবং আরেকটি উদ্দেশ্য বিশ্বস্ত ভক্তদেরকে পরিত্রাণ করা হয়, সাধু। সাধু মানে ধার্মিক ব্যাক্তি।

সাধু... আমি অনেক বার ব্যাখ্যা করেছি সাধু মানে ভক্ত। সাধু মানে এই নয় যে জাগতিক সততা বা অসততা, নৈতিকতা বা অনৈতিকতা। এটি জাগতিক কর্মের অতীত। তা কেবল চিন্ময়, সাধু। কিন্তু মাঝে মাঝে আমরা ভাবি, "সাধু," মানে একজন ব্যক্তির জাগতিক ভাল গুণ, নৈতিকতা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সাধু মানে চিন্ময় স্তরে স্থিত। যারা চিন্ময় সেবায় নিযুক্ত। স গুণান্‌ সমতীতৈতান (গীতা ১৪.২৬)। সাধু সমস্ত জড় গুণাবলীর অতীত। তাই পরিত্রাণায় সাধুনাম্‌ (গীতা ৪.৮) পরিত্রাণায় মানে উদ্ধার করা।

যদি একজন সাধু ইতিমধ্যেই মুক্ত হন, তবে তিনি চিন্ময় স্তরে আছেন, তাহলে তাকে উদ্ধার করার দরকার কি? এটাই হল প্রশ্ন। অতএব এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, বিড়ম্বনম্‌। এটা বিভ্রান্তিজনক। এটা আপাতবিরোধী। এটা পরস্পরবিরোধী বলে মনে হচ্ছে। যদি একজন সাধু ইতিমধ্যে মুক্ত হন... দিব্য স্থিতি মানে তিনি আর প্রকৃতির তিনটি গুণ সত্ত্ব, রজ এবং তম-এর অধীন নন। কারণ তা ভগবদগীতায় স্পষ্ট বলা হয়েছেঃ স গুণান্‌ সমতিতৈতান (গীতা ১৪.২৬) তিনি জড় গুণাবলী অতিক্রম করে গেছেন। একটি সাধু, ভক্ত। তাহলে মুক্তির প্রশ্ন কোথায়? উদ্ধার ... তার উদ্ধারের প্রয়োজন নেই , একজন সাধু, কিন্তু তিনি ভগবানকে সামনাসামনি দেখতে খুবই উদ্বিগ্ন , এটা তার হৃদয়ের ইচ্ছা, তাই কৃষ্ণ আসেন। মুক্ত করতে নয়, তিনি এমনিতেই মুক্ত। জড় বন্ধন থেকে তিনি এমনিতেই মুক্ত। কিন্তু তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য, শ্রীকৃষ্ণ সবসময়ই আছেন ... যেমন একজন ভক্ত চায় সবকিছুতে ভগবানকে সন্তুষ্ট করতে, অনুরূপভাবে, ভক্তের চেয়েও ভগবান ভক্তকে অধিক সন্তুষ্ট করতে চান। এই হচ্ছে প্রেমের আদান প্রদান। যেমন আমাদের সাধারণ ব্যবহারেও, যদি তুমি কাউকে ভালোবাস, তুমি তাকে সন্তুষ্ট করতে চাও। অনুরূপভাবে, তিনিও ভাবের বিনিময় করতে চান। তাই যদি, এই প্রেমের বিনিময় এই জড় জগতেই হয়, তাহলে চিন্ময় জগতে তা কতটা উন্নত হবে? তাই একটি শ্লোক আছে যে: "সাধু হচ্ছে আমার হৃদয়, এবং আমি সাধুর হৃদয়।" সাধু সবসময় কৃষ্ণের কথা চিন্তা করেন। এবং কৃষ্ণ সবসময় তাঁর ভক্ত, সাধু সম্পর্কে চিন্তা করেন।