BN/Prabhupada 1046 - তুমি ঠিক কর যে এমন দেহ পেতে চাও কিনা যাতে কৃষ্ণের সাথে নৃত্য, কথা বলা ও খেলতে পারবে: Difference between revisions

 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 9: Line 9:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 1045 - What Can I Say? Every nonsense will speak something nonsense. How Can I Check it?|1045|Prabhupada 1047 - He has Taken Up some False Duty and Working Hard for it, therefore He is an Ass|1047}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 1045 - আমি কি বলব? প্রত্যেক বেকার মানুষ আজেবাজে কথা বলবে। আমি এটাকে কিভাবে বন্ধ করতে পারি?|1045|BN/Prabhupada 1047 - সে মিথ্যা কিছু কর্তব্য নিয়েছে আর খেটে চলছে, তাই সে একটা গাধা ছাড়া আর কিছুই না|1047}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->

Latest revision as of 08:02, 7 December 2021



750712 - Lecture SB 06.01.26-27 - Philadelphia

নিতাইঃ "এইভাবে অজামিল যখন তার পুত্রের প্রতি আসক্ত হয়ে তার জীবন অতিবাহিত করছিল, সেই সময় তার মৃত্যুকাল উপস্থিত হলো। তখন সে অন্যকিছুর পরিবর্তে কেবল তার পুত্রের কথা চিন্তা করতে লাগল।"

প্রভুপাদঃ

স এবং বর্তমানোহজ্ঞো
মৃত্যুকাল উপস্থিতে
মতিং চকার তনয়ে
বালে নারায়ণ আহ্বয়ে
(শ্রীমদ্ভাগবত ৬.১.২৭)।

তো বর্তমানো। প্রত্যেকেই কোন একটা নির্দিষ্ট অবস্থার অধীনে থাকে। এটিই হচ্ছে জড় জাগতিক জীবন। আমি একটা চেতনার অধীনে আছি, তুমি একটা চেতনার অধীনে আছ- প্রত্যেকেই। প্রকৃতিগত ধরণ অনুযায়ী, আমরা জীবন সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন ধারণা আর চেতনা লাভ করে থাকি। এটিকে বলে জড় জীবন। এখানে আমরা সবাই একত্রে বসে আছি, কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের চেতনা ভিন্ন ভিন্ন। সাধারণভাবে, এটি হচ্ছে ইন্দ্রিয়তৃপ্তির জন্য। জাগতিক জীবন মানে প্রত্যেকেই পরিকল্পনা করছে, "আমি এভাবে বাঁচব, আমি এভাবে অর্থ উপার্জন করব। আমি এভাবে উপভোগ করব।" প্রত্যেকেরই একটা কর্মসূচী রয়েছে।

তো অজামিলেরও একটা কাজ ছিল। সেটা কি? তার কাজ ছিল, যেহেতু সে তার ছোট ছেলেটার প্রতি খুব আসক্ত ছিল, এবং তার সম্পূর্ণ মনোযোগ ছিল শিশুটির ওপর, শিশুটি কিভাবে চলাফেরা করছে, কিভাবে সে খাচ্ছে, শিশুটি কিভাবে কথা বলছে, মাঝে মাঝে সে তাকে ডাকছে, তাকে খাওয়াচ্ছে, সুতরাং এভাবে তার সমস্ত মনোযোগ ছিল শিশুটির কার্যকলাপের উপর। আগের শ্লোকে আমারা ইতিমধ্যেই ব্যাখ্যা করেছিঃ

ভুঞ্জানঃ প্রপিবন্‌ খাদন্‌
বালকং স্নেহযন্ত্রিতঃ
ভোজয়ন্‌ পায়য়ন্‌ মূঢ়ো
ন বেদাগতমন্তকম্‌
(শ্রীমদ্ভাগবত ৬.১.২৬)।

শুধু অজামিলই নয়, প্রত্যেকেই, তারা একটি নির্দিষ্ট ধরণের চেতনার মধ্যে নিমগ্ন। এটি কি কারণে হয়? এই ধরণের চেতনা কিভাবে গড়ে উঠে? এটি বলা হয়েছে যে, স্নেহাযন্ত্রিতঃ। স্নেহা মানে স্নেহ, মায়ামমতা। "স্নেহরূপ যন্ত্রের দ্বারা আসক্ত হয়ে।" তো প্রত্যেকেই এই যন্ত্রটির দ্বারা আক্রান্ত। এই দেহটি একটি যন্ত্র। আর এটি প্রকৃতির দ্বারা কাজ করছে। আর নির্দেশনা আসছে পরম পুরুষোত্তম ভগবানের কাছ থেকে। আমরা একটি নির্দিষ্ট উপায়ে ভোগ করতে চেয়েছি, এবং শ্রীকৃষ্ণ আমাদের একটি নির্দিষ্ট ধরণের দেহরূপ যন্ত্র দিয়েছে। ঠিক যেমন আমাদের বিভিন্ন ধরণের মোটরগাড়ি থাকে। যেমন ধর... কেউ বলে, "আমি বাইক গাড়ি চাই।" কেউ বলে, "আমি চাই শেভ্রোলেট," কেউ চায়, "ফোর্ড"। এগুলো তৈরি আছে। একইভাবে, আমাদের দেহটিও ঠিক এইরকম। কেউ ফোর্ড, কেউ শেভ্রোলেট, কেউ হচ্ছে বাইক, শ্রীকৃষ্ণ আমাদের এই সুযোগটি দিয়েছেন, "তুমি এই ধরণের গাড়ি চাও বা দেহ। তুমি এতে বসো আর উপভোগ কর।" এই হচ্ছে আমাদের জাগতিক অবস্থা।

ঈশ্বরঃ সর্বভূতানাং হৃদ্দেশেহর্জুন তিষ্ঠতি (ভগবদ্গীতা ১৮.৬১)। একটি দেহ ত্যাগ করার পর আমরা ভুলে যাই, আমি কি চেয়েছিলাম, আর কেন আমি এই ধরণের দেহ পেয়েছি। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ আমাদের হৃদয়ে আছেন। তিনি ভুলে যান না। তিনি তোমাকে সেটা দেন। যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে (ভগবদ্গীতা ৪.১১)। তুমি এই ধরণের দেহ চেয়েছিলেঃ এখন তুমি তা নাও। শ্রীকৃষ্ণ এতো দয়ালু। যদি সে এমন দেহ চায় যাতে করে সে সব কিছু খেতে পারে, তখন শ্রীকৃষ্ণ তাকে একটি শুকরের দেহ দেন, তো এটি এমন কি বিষ্ঠাও খেতে পারে। আর কেউ যদি এমন একটি দেহ চায় যে "আমি শ্রীকৃষ্ণের সাথে নৃত্য করব, তখন সে সেই রকম দেহ পায়। এখন এটি তোমার উপর, তুমি কি এমন একটি দেহ পেতে চাও যেটা শ্রীকৃষ্ণের সাথে নৃত্য করতে, কথা বলতে কিংবা খেলতে পারবে। তুমি তা পেতে পার। আর তুমি যদি এমন একটি দেহ চাও যে কিভাবে মলমুত্র খাওয়া যায়, তুমি সেটিও পাবে।