BN/Prabhupada 0157 - আপনার হৃদয় শুদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আপনি হরি কে বুঝতে পারবেন না



Lecture on SB 6.2.11 -- Vrndavana, September 13, 1975

যদি আপনি শাস্ত্রের আদেশ গ্রহণ না করেন, বিশেষত যখন কৃষ্ণ, সর্বশক্তিমান প্রভু, ভগবদ-গীতায় আপনাকে নির্দেশ দিচ্ছেন .. এটী সকল শাস্ত্রের সারাংশ। আপনি এটা নিন। তাহলে আপনি খুশি হবেন। অন্যথায় নয়। তাই এখানে বলা হয় যে, আঘবান, পাপী মানুষ, শুদ্ধ করা যাবে না, কেবল এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান দ্বারা, প্রায়শ্চিত্ত, বা কিছু প্রতিশ্রুতি রেখে, ব্রত করে। তাহলে কিভাবে সম্ভব? কারণ সবাই....যথা হরের নাম। তাই এটি সুপারিশ করা হয়, হরের নাম হরের নাম হরের নামৈব কেবলম্ম কলৌ নাস্তেব্য নাস্তেব্য নাস্তেব্য (চৈ.চ.আদি ১৭.২১) একই জিনিস। আপনি শাস্ত্রে পরস্পরবিরোধী আদেশ পাবেন না। অগ্নি পুরানে বলা হয়েছে এবং শ্রীমদ্ভাগবতমে সেই একই জিনিস বলা হয়েছে। অগ্নি পুরানে বলা হয়েছে, হরের নাম হরের নাম হরের নামৈব কেবলম, এবং এখানে শ্রীমদ্ভাগবতমে বলা হয়েছে, যথা হরের নাম পাদৈর উদারতৈ তদ উত্তমাশ্লোকে গুনপালামবাকাম (শ্রীমদ্ভাগবত ৬.২.১১) হরের নাম মানে পবিত্র নাম জপ, এটা সাধারন। কিন্তু যখন আপনি হরের নাম জপ করবেন তারপর ক্রমশঃ বুঝতে পারবেন, হরি কি, তার রূপ কী, তার গুণ কী, তাঁর কাজ কী। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন। কারন হরের নাম ছাড়া আপনার হৃদয় নোংড়া থাকবে- চেত দর্পণ মার্জনাম (চৈ.চ.অন্ত ২০.১২) আপনার হৃদয় পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আপনি হরি কে বুঝতে পারবেন না। তার নাম কি, তার রূপ কি, কি তার গুন, কি তার কার্যক্রম, আপনি বুঝতে পারবেন না।

অথঃ শ্রীকৃষ্ণ নামাদি ন ভবেদ গ্রাহ্যম ইন্দ্রিয়ৈ (চৈ.চ.মধ্য ১৭.১৩৬) আপনার নিদারুণ অজ্ঞান ইন্দ্রিয়, আপনি যদি ব্যবহার করেন, আপনি কৃষ্ণকে বুঝতে পারবেন না। অতএব মানুষ কৃষ্ণকে বোঝে না, না তারা হরিনামের মূল্য বোঝে। যেহেতু তাদের ইন্দ্রিয় ভোঁতা, এই মায়ার গুণাবলীগুলির সাথে দূষিত, তারা বুঝতে পারে না। কিন্তু এই একমাত্র উপায়- চেত দর্পন মার্জনম ভব মহা দাবাগ্নি নির্বাপনম (চৈ.চ.অন্ত ২০.১২) কারন আপনাকে শুদ্ধ হতে হবে, তাই এটি একমাত্র পদ্ধতি। হরে কৃষ্ণ জপ ক্রুন। তাহলে আপনি ক্রমশঃ শুদ্ধ হবেন। পুন্য শ্রবন কীর্তন। পুন্য শ্রবন কীর্তন। শৃন্বতাং স্বকথাঃ কৃষ্ণঃ পুণ্য শ্রবন কীর্তন (শ্রী.ভা. ১.২.১৭) যদি আপনি শোনেন, যদি আপনি কৃষ্ণের কীর্তন করেন, উত্তমাশ্লোক যেমন এটা বলে হয়েছে তদ উত্তমাশ্লোক-গুনপালামবাকম, অনেক সুবিধা আছে। তাই হরে কৃষ্ণ আন্দোলন খুব গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেককে এটা খুব গম্ভীরভাবে গ্রহণ করা উচিত। কীর্তনীয়া সদা হরি,

তৃণাদপি সুনীচেন
তরোরপি সহিষ্ণুনা
অমানিন মানদেন
কীর্তনীয় সদা হরি
(চৈ.চ.আদি ১৭.৩১)

এটা চৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ। কঠিন... পদম পদম যৎ বিপদম (শ্রী.ভা.১০.১৪.৫৮) এই জড় জগতে শুধু বিপদ। কোন সম্পদ নেই। আমরা বোকার মত চিন্তা করি " এখন আমি খুব সুন্দর আছি"। কি সুন্দর? আপনি পরবর্তি মুহুর্তে মারা যাবেন। কি সুন্দর? কিন্তু এই বোকার লোকেরা বলে "হ্যাঁ, আমি সুন্দর। আপনি কাউকে জিজ্ঞাসা করুন, "কেমন আছেন?" "হ্যাঁ খুব সুন্দর." কি সুন্দর ? আপনি আগামীকাল মারা যাবেন এখনও সুন্দর। এখানেই শেষ। এই চলছে। তাই এটা পদম পদম যৎ বিপ... তারা সুখী হওয়ার জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণার সৃষ্টি করছে, কিন্তু এই হভাগারা, তারা মৃত্যুকে কিভাবে থামাতে হয় জানে না। কি সুন্দর ? কিন্তু তাদের বোঝার জন্য কোন মস্তিষ্ক নেই। কিন্তু কৃষ্ণ বলেছেন," এই সমস্যা, আমার স্যার। আপনার বিজ্ঞানি, আপনারা অনেক কিছু চেষ্টা করছেন।" জন্ম মৃত্যু জড়া ব্যাধি দুখঃ দোশানুদর্শনম (ভ.গী. ১৩.০৯) প্রথমে খোঁজার চেষ্টা করুন আপনাদের সমস্যা কি। জন্ম মৃত্যু জড়া ব্যাধি। আপনাকে জন্ম নিতে হবে, আপনাকে মরতে হবে, আপনাকে রোগে কষ্ট করতে হবে, আপনাকে বৃদ্ধ হতে হবে। সব প্রথম এটি বন্ধ করুন; তারপর বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির কথা বলুন। অন্যথায় আপনার কথা অর্থহীন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।