BN/Prabhupada 0242 - সভ্যতার মুল প্রক্রিয়ায় আমাদের ফিরে যাওয়া খুব মুশকিল



Lecture on BG 2.3 -- London, August 4, 1973

প্রভুপাদঃ গত কালকে আমরা পড়ছিলাম যখন মনু, বৈবস্বত মনু, কর্দম মুনির কাছে এসেছিলেন, তিনি স্বাগত করছিলেন, "মহাশয়, আমি জানি যে আপনার এখানে আসা মানে শুধুমাত্র..., কি বলে, কি যেন বলে, পরীক্ষা করতে?

ভক্তঃ নিরীক্ষণ

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, নিরীক্ষণ। নিরীক্ষণ। "আপনার এখানে আসা মানে এটা দেখা যে বর্ণাশ্রমের. ব্রাহ্মণ আসলে ব্রাহ্মণ কাজ করছেন কি না, ক্ষত্রিয় আসলে ক্ষত্রিয়ের কাজ করছেন কিনা?" এই হচ্ছে রাজার সফর। রাজার সফর আনন্দ উপভোগ করার জন্য নয়, যে রাজ্যের খরচ কর কোথায় যাও এবং ফিরে আসো, না। তিনি ছিলেন ... কখনও কখনও ছদ্মবেশে রাজা এই বর্নাশ্রম-ধর্মকে বজায় রেখেছেন কিনা তা দেখতে চেয়েছিলেন, সঠিকভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে, না হিপ্পিদের মত সময় নষ্ট করা হচ্ছে? না, এটা করা যাবে না। এটা করা যাবে না। এখন আপনাদের সরকারের কিছু পরিদর্শন আছে যে কেউ কার্যরত, কিন্তু ... বেকার। কিন্তু অনেক কিছু বাস্তবিকভাবে পরীক্ষা করা হয় না। কিন্তু এই সব দেখা সরকারের কর্তব্য। বর্নাশ্রমাচরবতা, সবাই ব্রাহ্মণ হিসেবে অনুশীলন করছে। মিথ্যা দ্বারা একজন ব্রাহ্মণ হওয়া মিথ্যা থেকে ক্ষত্রিয় হওয়া, না। আপনাকে করতে হবে। সুতরাং এটি ছিল রাজ্যের কর্তব্য, সরকারের দায়িত্ব। এখন সবকিছু উল্টাপাল্টা হয়ে গেছে, কিছুই বাস্তবিক মূল্য আর রইল না। অতএব, চৈতন্য মহাপ্রভু বলেন, কলৌ ...

হরের্নাম হরের্নাম
হরের্নাম এব কেবলম
কলৌ নাস্তেব্য নাস্তেব্য নাস্তেব্য
গতির অন্যথা
(চৈ.চ.আদি ১৭.২১)

সভ্যতার মৌলিক প্রক্রিয়ার আমাদের ফিরে যাওয়া খুবই কঠিন।

তাই একজন বৈষ্ণবের জন্য, যেমন আমি ব্যাখ্যা করেছিলাম ত্রি-দশ-পুর আকাশ পুস্পায়তে দুদান্তন্দ্রিয়-কাল-স্বর্প-পটলি। তাই ইন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রণ করা, এটা দুদান্ত। দুদান্ত মানে দুর্জয়। ইন্দ্রিয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ এটা খুব, খুব কঠিন। এইজন্য এই যোগ পদ্ধতি, যৌগিক প্রক্রিয়া কিভাবে ইন্দ্রিয় অনুশীলন করা যায়। কিন্তু একজন ভক্তের জন্য... তারা...যেমন জিহ্বার মতন, যদি তারা শুধু হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করে, আর কেবল কৃষ্ণ প্রসাদ খায়, এটা পূর্ণ, পূর্ণ যোগী, এটা একদম ঠিক। তাই একজন ভক্তের কাছে, ইন্দ্রিয় সঙ্গে কোন সমস্যা নেই কারণ একজন ভক্ত জানেন যে, ঈশ্বরের সেবায় প্রতিটি ইন্দ্রিয়কে কিভাবে কাজে লাগানো যায়। হৃষিকেন হৃষিকেশ-সেবনম (চৈ.চ.মধ্য ১৯.১৭০) এই হচ্ছে ভক্তি। হৃষিক মানে হচ্ছে ইন্দ্রিয়। যখন ইন্দ্রিয় গুলি ভগবানের সেবায় নিযুক্ত হবে, হৃষিকেন, তাহলে আর যোগ অনুশীলনের প্রয়োজন নেই। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কৃষ্ণের সেবায় নিয়োজিত তাদের কাছে অন্য কোন কাজ নেই। এটি সবচেয়ে উচ্চ। সেইজন্য কৃষ্ণ বলেছেন,

যোগিনামপি সর্বেষাং
মদ্গতেনান্তরাত্মনা
শ্রদ্ধাবান ভজতে যো মাং
স মে যুক্ততমো মতঃ
(ভ.গী ৬.৪৭)

"একজন প্রথম শ্রেনীর যোগী হচ্ছে তিনি, যিনি সর্বদা আমার বিষয়ে চিন্তা করে।" সেইজন্য এই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ, যদি আমরা কেবল হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্রের জপ করি এবং শুনি, প্রথম শ্রেনীর যোগী। তাই এটাই প্রক্রিয়া, কৃষ্ণ চাইছিলেন অর্জুন "কেন তুমি মনের এই দুর্বলতায় লিপ্ত? তুমি আমার সুরক্ষার অধীনে আছো। আমি তোমাকে যুদ্ধ করতে আদেশ করছি কেন তুমি এটা অস্বীকার করছো?" এই হচ্ছে তাৎপর্য।

অনেক ধন্যবাদ।