BN/Prabhupada 0282 - আমাদের আচার্যদের পদাঙ্ক অনুসরন করতে হবে



Lecture on BG 7.2 -- San Francisco, September 11, 1968

মনুষ্যানাং সহস্রেষু
কশ্চিৎ যততে সিদ্ধয়ে
যততামপি সিদ্ধানাম
কশ্চিৎ মাম বেত্তি তত্ত্বত
(ভ.গী ৭.৩).

এখানে বলা হয় যে মনুষ্যাস্‌ তেষাম্‌ শাস্ত্রধিকারা যজ্ঞানাম্‌ সহস্র মধ্যে। এখন, আমি কী, ভগবান কি, এই জড় জগত কী, তা কীভাবে কাজ করছে, এই জিনিসগুলি একটি শিক্ষিত ব্যক্তির আগ্রহ। একটি বোকা এটি গ্রহণ করতে পারে না। তাই শাস্ত্র অধিকার। শাস্ত্র মানে একজনের কিছু জ্ঞান আছে শাস্ত্রের, যা জ্ঞানের পুস্তক। যখনই আমরা এমন একজনকে পাই যিনি শাস্ত্র-জ্ঞানে উন্নত, তখনই এই ধরণের লোক পাবার সংখ্যা কমে যাবে। যদি আপনি এখানে খোঁজেন যে কতজন মানুষ অশিক্ষিত, ওহ, আপনি অনেক খুঁজে পাবেন। এবং যখনই আপনি জানতে চাইবেন কতজন এম এ পাশ আছে, তখন সংখ্যা একদম হ্রাস পাবে। অনুরূপভাবে, অনেক লোক আছে, কিন্তু যদি আপনি এমন একজন ব্যক্তির সন্ধান করতে চান যিনি তার জীবনকে আদর্শভাবে গড়তে চেষ্টা করছেন তাহলে সংখ্যা হঠাৎ কমে যাবে। এবং তাদের মধ্যে, অনেক আধ্যাত্মিকবাদী , স্বামী, যোগী আছেন। আপনি যদি গণনা করেন যারা ভগবানকে বুঝতে চান, কাদের ভগবানের জ্ঞান আছে, তাহলে সেই সংখ্যা হঠাৎ কমে যাবে, তারপর আবার।

তাই কৃষ্ণ বলছেন যে অনেক হাজার হাজার মানুষের মধ্যে, কেউ কেউ তাদের জীবন সম্পূর্ণ করতে আগ্রহী। এবং হাজার হাজার মানুষের মধ্যে যারা আসলে তাদের জীবন সম্পূর্ণ করতে চেষ্টা করছেন, আপনি কাউকে খুঁজে পাবেন - অথবা আপনি খুঁজে নাও পেতে পারেন। যে ভগবান বা কৃষ্ণকে জানে। কিন্তু কৃষ্ণ অত্যন্ত দয়ালু, তিনি নিজেকে সবার কাছে জানাতে নিজেই আসেন। এবং তিনি এত দয়ালু যে তিনি জড় জগত ছেড়ে যাওয়ার আগে ভগবদ গীতা ছেড়ে চলে যান। যাতে আপনি ভগবানের ব্যক্তিগত কথোপকথন থেকে বুঝতে পারেন যে ভগবান কে? সুতরাং যদি আপনি ভগবদগীতা সঠিকভাবে পড়েন, ঠিক যেমন কৃষ্ণ বলেছেন, মূঢ় ব্যাখ্যা ছাড়া, অর্থহীন ভাবে, বরং বাস্তবতা, যথাযথ ভাবে ... কোদালকে একটি কোদাল বলুন, কৃষ্ণ বলেছেন যে "আমি পরম পুরুষ ভগবান।" আপনার নকল ব্যাখ্যার সাথে এই সংস্করণটি ব্যাখ্যা করবেন না, কিন্তু কৃষ্ণকে পরম পুরুষ ভগবান হিসাবে গ্রহণ করুন। এবং তাদের কাজের দ্বারা, তাদের শাস্ত্র দ্বারা, জ্ঞান ... সবাই আগেই এটিকে গ্রহণ করেছে, সমস্ত আচার্যরা

তাই আমাদের আচার্যদের পদচিহ্ন অনুসরণ করতে হবে। মহাজন যেন গত স পন্থা (চৈ.চ.মধ্য-১৭.১৮৬)। আমরা মহান ব্যাক্তিদের পদাঙ্ক অনুসরন ছাড়া উচ্চ জিনিস বুঝতে পারবো না। যেমন বিজ্ঞান দুনিয়ার মতো, মাধ্যাকর্ষণ নীতি। আপনারা আকর্ষণ শক্তি সম্পর্কে কিছু জানেন না, কিন্তু স্যার আইজাক নিউটন, তিনি বলেছেন যে আকর্ষনশক্তি আছে। তিনি স্বীকার করেছে্ন। ব্যাস্‌। এর মানে আপনি মহাজনদের অনুসরণ করছেন। অনুরূপভাবে, কৃষ্ণকে গ্রহণ করা উচিত (হিসাবে) পরমপুরুষ ভগবান হিসাবে। না খেয়ালখুশি ভাবে। ভগবান শ্রীচৈতন্য, রামানুজাচার্য, শঙ্করাচার্য এনারাও স্বীকার করছেন, মহান ব্যক্তিত্ব যারা আধ্যাত্মিক জগতের দিকে পরিচালনা করছেন। তাই আপনাকে সেইভাবে গ্রহণ করতে হবে।