BN/Prabhupada 0337 - তথাকথিত সুখ এবং দুঃখের পিছনে হয়রানি হয়ে আপনার সময় নষ্ট করো না



Lecture on CC Madhya-lila 20.103 -- Washington, D.C., July 8, 1976

অনেক জিনিস আছে যাদের সাথে আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে। এটা কে বলে অস্তিত্বের জন্য লড়াই। এখন আধুনিক বিজ্ঞানিরা তারা বলছে... এটি একটি খুব শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নয়। এই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল সনাতন গোস্বামী দ্বারা, যে কেন অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম? কেন জীবন সহজ, শান্তিপূর্ণ জীবন নয়? কেন কিছু বাইরের লোক, তারা আমাদের বিরোধিতা করছে? আমি শান্তি চাই, কিন্তু সেখানেও বিরোধিতা। এটাই অস্তিত্বের জন্য লড়াই। এখানে প্রশ্ন হওয়া উচিত কেনো? যেমন একটি উড়ন্ত মাছির সঙ্গে, আমাদের যুদ্ধ করতে হবে আমি বসে আছি, তার কোন ক্ষতি না করে, কিন্তু সে আমাকে আক্রমণ করছে, আমাকে বিরক্ত করছে। এরকম অনেক আছে। তাই যদি আপনি বসে থাকেন কোন অপরাধ করা ছাড়াই... যেমন আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে কোন অপরাধ নেই, কিন্তু একটা বাড়ি থেকে সমস্ত কুকুর চিৎকার করতে শুরু করলো; "কেন আপনি আসছেন? কেন আসছেন?" ওদের চিৎকার করার কোনো কারণ নেই, কারণ ওরা কুকুর, ওদের কাজ হচ্ছে ""কেন আপনি আসছেন? কেন আসছেন?" সাধারণত বর্তমানে আমাদের একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার স্বাধীনতা নেই। অভিবাসন বিভাগ: "কেন আপনি আসছেন? কেন আসছেন?" অনেক জায়গায় আমাদের প্রবেশ করতে বারন করা হয়। আমরা এরোপ্লেন থেকেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছি। "না আপনি প্রবেশ করতে পারবেন না ফিরে যান।" সুতরাং আমাকে ফিরে যেতে হয়েছিল। অনেক অনেক অসুবিধা। পদম্‌ পদম্‌ যদ বিপদাম্‌ ন তেষাম্‌ (শ্রী.ভা. ১০.১৪.৫৮)। এই জড় জগতে আপনি শান্তিপূর্ণ ভাবে বাঁচতে পারবেন না। খুব নয়, শান্তিপূর্ণ নয় সব কিছু। অনেক বাধা আছে। শাস্ত্র বলছে পদম্‌ পদম্‌ যদ বিপদাম্‌। প্রতিটি পদক্ষেপ বিপদজ্জনক। কেবল এই নিম্ন শ্রেনীর প্রাণীর কাছ থেকে নয়, প্রকৃতির দ্বারা মানব সমাজ থেকে, আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। সুতরাং এই পথে আমাদের জীবন খুব সুখী নয় এই জড়জগতে, এবং আমাদের অনুসন্ধান বিষয়ে উন্নত হওয়া আবশ্যক, যে এত বাধা কেন? এটা মনুষ্য জীবন। এটা মনুষ্য জীবন।

তো কীভাবে অনুসন্ধান করবেন? কীভাবে সুখী হওয়া যায়? জীবনের লক্ষ্য কী? সনাতন গোস্বামী ... কেবল সনাতন গোস্বামী নয়, তিনি আমাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আমরা জানি না। আমরা জানি না। তাই চৈতন্য মহাপ্রভুর দয়ায় বা চৈতন্য মহাপ্রভুর সেবকের দয়ায়, আমরা শিক্ষা পেতে পারি ... জীবনের উদ্দেশ্য কি, কেনো অস্তিত্বের জন্য লড়াই, কেনো মৃত্যু। আমি মরতে চাই না; কেনো জন্ম হয়? আমি মার গর্ভের মধ্যে প্রবেশ করতে চাই না এবং অনেক দিন ধরে সেখানে বন্দি অবস্থায় থাকতে চাই না। আমি বৃদ্ধ হতে চাই না, কিন্তু এটি আমার উপর আরোপিত হয়। তাই আমাদের কাজ বাস্তব কাজ, কিভাবে এই প্রশ্নগুলি সমাধান করা যায়, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য না। অর্থনৈতিক বিকাশ, আমাদের ভাগ্যে যতটুকু থাকে তা আমরা পাই। সুখ বা সংকট, আমরা এটি পাবোই। ঠিক যেমন আমরা সঙ্কটের জন্য চেষ্টা করি না, কিন্তু এটি আসে। এটা আমাদের উপর আরোপিত হয়। অনুরূপভাবে, সামান্য সুখ যেটা আপনার ভাগ্যে আছে সেটা আসবেই। এটি শাস্ত্রের উপদেশ। কৃত্রিমভাবে কিছু আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করে আপনার সময় অপচয় করবেন না। যদি সুখ আপনার ভাগ্যে থাকে তাহলে তা আসবে অবশ্যই। এটা কীভাবে আসবে? যথা দুঃখম আয়নত। একই ভাবে। ঠিক যেমন আপনি কষ্টের জন্য চেষ্টা করেন না, কিন্তু এটি আপনার কাছে আসে। তেমনি সুখের জন্য চেষ্টা করবেন না, এটা আপনার ভাগ্য আছে যাই হোক না কেন পাবেন।

তাই এই সুখ এবং সংকট নিয়ে আপনার সময় নষ্ট করবেন না। ভালো হয় আপনার জীবনের লক্ষ্য কী সেই চিন্তার উপর নিজের মনোনিবেশ করুন। কেনো এতো সমস্যা, কেনো আপনাকে অস্তিত্বের জন্য লড়াই করতে হয়। এটা আপনার কাজ... এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন দ্বারা আমরা জনগণ কে বোঝানোর চেষ্টা করছি সমস্যা সম্পর্কে। এটি একটি সাম্প্রদায়িক আন্দোলন বা তথাকথিত ধর্মীয় আন্দোলন নয়। এটি শিক্ষাগত সাংস্কৃতিক আন্দোলন। প্রতিটি মানুষকে জীবনের লক্ষ্য বুঝতে হবে। প্রত্যেক মানুষকে বুঝতে হবে যে কেন জীবনের অস্তিত্বের জন্য লড়াই করতে হবে, যদি কোনও প্রতিকার থাকে, যদি কোনও প্রক্রিয়া থাকে যা কোন ঝামেলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপনের জন্য আমাদের সাহায্য করতে পারে ... এই মানব জীবনে আমাদের শিখতে হবে বড়ো হতে হবে। যেমন সনাতন গোস্বামী তিনি একজন মন্ত্রী ছিলেন, তিনি খুব শিক্ষিত ছিলেন, তিনি ভালভাবে জীবনযাপন করতেন, কিন্তু তিনি চৈতন্য মহাপ্রভুর সাথে যুক্ত হন। তাই এ কারণেই আমাদের ভগবান চৈতন্য মহাপ্রভু বা তাঁর প্রতিনিধিদের নিকট আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং যুক্ত হতে হবে। তদ বিদ্ধি প্রনিপাতেন (ভ.গী ৪.৩৪)। এটি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাবে নয়। "আপনি আমাকে ভগবান দেখাতে পারেন?" এসব হচ্ছে প্রতিকূলতা। এই রকম নয়। ভগবান সর্বত্র আছেন, কিন্তু সর্বোপরি, ভগবানের দর্শন পাওয়ার জন্য আপনার চোখ প্রস্তুত করতে হবে, তার পর আপনি চ্যালেঞ্জ করলেন, "আপনি আমাকে ভগবান প্রদর্শন করাতে পারেন?" এই মনোভাব আমাদের সাহায্য করবে না। বিনয়ী। তদ বিদ্ধি প্রনিপাতেন। এটাই শাস্ত্রের আদেশ। আপনি যদি এই বিজ্ঞান, ঐশ্বরিক বিজ্ঞান বুঝতে চান, তদ বিদ্ধি- বোঝার চেষ্টা করুন- কিন্তু প্রণিপাতেন, খুব বিনম্রতা পূর্বক। যেমন সনাতন গোস্বামী নম্রভাবে উপস্থাপন করেছেন।