BN/Prabhupada 0358 - এই জীবনেই আমরা একটা সমাধান বের করব। আর নয়। আর আসব না



Lecture on BG 7.14 -- Hamburg, September 8, 1969

এখন আমরা কীভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি হব? বিড়াল এবং কুকু্রের মত? তাহলে মানুষের জীবনের অর্থ কি? ওরা বিড়াল এবং কুকুরের শরীর পেয়েছে। ওদেরও মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে। এবং আমি এই শরীর পেয়েছি, আমিও মৃত্যুর সম্মুখীন হব। তাই আমাকেও কি বিড়াল এবং কুকুর মত মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হবে? তাহলে আমি কি ধরনের মানুষ? না। শাস্ত্র বলছে যে লব্ধা সুদুর্লভম ইদং বহুসম্ভবান্তি (শ্রী.ভা ১১.৯.২৯)। বিভিন্ন ধরনের শরীরের বিকাশের পর ... আপনারা বিবর্তন তত্ত্ব বোঝেন। এটা ঠিক ডারউইন তত্ত্বের মতন না, কিন্তু এটি একটি বিবর্তন প্রক্রিয়া। এটি বৈদিক সাহিত্যে গ্রহণ করা হয়েছে। একেবারে নিচের স্তর থেকে শুরু করে উচ্চতর প্রজাতির জন্ম পর্যন্ত তাই এই মনুষ্য জীবনকে বোঝা উচিত। আমরা অনেক নিম্ন শ্রেণীর জীবনের পরে এই মনুষ্য জীবন পেয়েছি। লব্ধা সুদুর্লভম্‌। এবং এটা খুব দুর্লভ। জীববিজ্ঞানীরা গণনা করে দেখুক কত প্রজাতির জীবন আছে ৮৪ লক্ষ প্রজাতির জীবন আছে। তার মধ্যে, মানুষের সংখ্যা খুব অল্প পরিমাণে। চুরাশি লক্ষ প্রজাতির মধ্যে মানব প্রজাতি চার লক্ষ অন্যান্য প্রাণীর তুলনায়, খুব অল্প পরিমাণে। তাদের মধ্যে কিছু অসভ্য পুরুষ আছে, অনেক আছে, তারা প্রায়ই প্রাণী। তারপর সভ্য মানুষ, যেমন আমরা হই। এর মধ্যে, তারা জানে না ... অনেকে জানে না, আধ্যাত্মিক জীবন কি। মনুষ্যানাং। এটা ভগবদ্গীতাতে বলা হয়েছে মনুষ্যানাং সহস্রেষু (ভ.গী.৭.৩)। হাজার হাজার মানুষের মধ্যে কেউ একজন সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী। সবাই না। সবাই, তারা জানে না সমস্যা কি। না তারা এটির জন্য যত্ন করে। তারা মনে করেন, "ঠিক আছে, সমস্যা ঘটতে দাও। আমরা এই জীবন পেয়েছি, আমাদের ইন্দ্রিয় উপভোগ করতে দিন।" তাই ওরা সবাই প্রায় পশুর ন্যায় কিন্তু যারা সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী, তাদের আসলে মানুষ হিসাবে গ্রহণ করা হয়। অন্যরা, তারা এমনকি মানুষ নয়। অধিকাংশই পশু

সুতরাং আপনারা এই সুযোগ পেয়েছেন। এই শরীরটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা উচিত, এই সমস্যাটি কিভাবে সমাধান করা যায়। যদি আমরা নিজেদেরকেই জন্ম ও মৃত্যুর চক্রের তরঙ্গে দিতে পারি, বিভিন্ন ধরনের শরীর, এটি খুব ভাল বুদ্ধিমত্তা নয়। বুদ্ধিমত্তা নয়। তাই সমস্যা সমাধানের জন্য মানুষয় জীবন ব্যবহার করা উচিত। এটি বৈদিক সভ্যতা। তারা সমস্যার সমাধান উপর অধিক বল দেন, প্রকৃত সমস্যার উপর। জাগতিক ভাবে জীবন মানে সমস্যাকে সৃষ্টি এবং বৃদ্ধি করা। এটি সঠিক মানব সভ্যতা নয়। আদর্শ মানব সভ্যতা হচ্ছে আপনি নিরবে, শান্তভাবে বসতে এবং দার্শনিকভাবে চিন্তা করতে পারবেন "কোথায় আমি জ্ঞান পেতে পারি? কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়?" এটি মানব রূপ। সমগ্র বৈদিক শিক্ষা অনুরূপ। এখন আপনি জীবনের এই রূপের উপযোগ করুন সমস্যার সমাধান করার জন্য। মৃত্যুর আগে আপনার জীবনের সমস্যার সমাধান করুন বিড়াল এবং কুকুরের মত মরো না। না। এবং যারা চেষ্টা করে, ... বেদে বলা হয়েছে, এতদ বিদিত্বা য প্রয়াতি স ব্রাহ্মণ। "যিনি সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা করার পর মারা যান তিনি ব্রাহ্মণ।" এবং যারা বিড়াল এবং কুকুরের মত মারা যায়, তাকে কৃপণ বলা হয়। কৃপণ মানে অল্পবুদ্ধিমান লোক।

সেইজন্য আমাদের বিড়াল ও কুকুরের মতো মরা উচিত নয়। আমরা একজন ব্রাহ্মনের মত মরা উচিত। যদি এই সমাধানটি এক জীবনে করা না হয়, তাহলে আপনি পরবর্তী জীবনে একটি সুযোগ পাবেন। এই সব ছেলেদের মত, যারা আমাদের কাছে এসেছে। এটা বোঝা যায় যে তারা সবাই তাদের পূর্বের জীবনেও করার চেষ্টা করেছে। এই সমস্যার একটি সমস্যা সমাধানের জন্য, কিন্তু এটি শেষ না। এখন আরেকটি সুযোগ আছে। এই জিনিসগুলি ভগবদ গীতাতে বলা হয়েছে। তাই এখন, এই জীবনে, আপনাকে দৃঢ় হতে হবে। যারা কৃষ্ণ ভাবনামৃতের সাথে যোগাযোগে এসেছেন এবং বাস্তবায়নের জন্য দীক্ষা গ্রহণ করছেন, তাদের খুব শক্তিশালী হতে হবে, এই জীবনে, আমরা একটি সমাধান খুঁজে পাব এবং আর না, আর আসতে হবে না।" এটা আমাদের সংকল্প হওয়া উচিত। তাই এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন এই উদ্দেশ্যে, জীবনের সব সমস্যার সমাধান করতে এবং প্রকৃত আলয়ে ফিরে যেতে, ভগবদ্ধামে ফিরে যেতে, যেখানে আমরা সেই নিত্য, আনন্দময়, সুখী জীবন পাব। এটাই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের সার।