BN/Prabhupada 0404 - এই কৃৃষ্ণভাবনামৃতের তরবারি গ্রহণ করুন - শুধুমাত্র বিশ্বাসের সাথে শুনতে চেষ্টা করুন



Lecture on SB 1.2.16 -- Los Angeles, August 19, 1972

তাই শুশ্রূষুঃ, শুশ্রূষুঃ শ্রদ্ধধানস্য (শ্রী.ভা.১.২.১৬)। যিনি শ্রদ্ধা বা বিশ্বাস সহকারে শোনেন, শ্রদ্ধধান... আদৌ শ্রদ্ধা। বিশ্বাস ছাড়া, আপনি কোন উন্নতি করতে পারবেন না। এটাই আধ্যাত্মিক জীবনের শুরু। আদৌ শ্রদ্ধা। "ওহ, এখানে কৃষ্ণ ভাবনামৃত চলছে। এটা খুব ভালো। তারা খুব সুন্দর প্রচার করছে।" মানুষ এখনও, তারা আমাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করে। যদি আমরা আমাদের মান বজায় রাখি, তাহলে তারা এটির প্রশংসা করবে। তাই এটাকে বলে হয় শ্রদ্ধা। এই প্রশংসাকে শ্রদ্ধা বলে, শ্রদ্ধাধানস্য। এমনকি যদি তিনি যোগ দিতে নাও চান, যদি কেউ বলেন, "ওহ, এটা খুব ভাল, এটা খুব ... এই লোকগুলো ভাল।" মাঝে মাঝে তারা সংবাদপত্রে বলে যে "এই হরে কৃষ্ণ মানুষ ভাল, তাদের মত আরো হওয়া উচিত। তারা বলে। তাই এই প্রশংসা করাও একজন মানুষের উন্নতির লক্ষণ যদি সে আমাদের কথা না শুনে, বা এখানে না আসে, শুধু বলে "এটা খুব ভাল।" হ্যাঁ। যেমন একটি ছোট শিশু, একটি শিশু, তাকে প্রশংসা করা হয়, করতাল হাতে নিয়ে সে দাঁড়াতে চেষ্টা করে প্রশংসা। জীবনের খুব শুরু থেকে, প্রশংসা, "এটা ভাল।" সে জানুক বা না জানুক, কোন ব্যাপার না। শুধুমাত্র প্রশংসা করলেই তা তাঁকে আধ্যাত্মিক জীবনের একটি স্পর্শ দেবে। এটা খুব সুন্দর। শ্রদ্ধা।

যদি তারা বিরুদ্ধে না যায়, কেবল প্রশংসা করে, "ওহ, তারা ভাল করছে ..." তাই আধ্যাত্মিক জীবনে উন্নয়নের অর্থ এই প্রশংসার উন্নয়ন, কেবল, ব্যাস্‌। কিন্তু প্রশংসা বিভিন্ন পরিমাণের হয়। তাই শুশ্রূষু শ্রদ্ধধানস্য বাসুদেবকথা-রুচি। এর আগের শ্লোকে, এটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যদ্‌ অনুধ্যাসিনা যুক্তা। আমাদের সর্বদা নিযুক্ত থাকতে হবে, সর্বদা চিন্তন করতে হবে এটি হচ্ছে তলোয়ার। আপনাকে এই কৃষ্ণ ভাবনামৃতের এই তরবারি নিতে হবে তাহলেই আপনি মুক্ত হবেন। সেই গ্রন্থি এই তরবারি দিয়েই কাটা যাবে। তাই...এখন কিভাবে আমরা এই তরবারিটি পাবো? এই প্রক্রিয়া এখানে বর্ণনা করা হয়েছে, কেবল শ্রদ্ধার সঙ্গে শুনতে চেষ্টা করুন। তাহলেই আপনি তরবারিটি পাবেন। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলনটি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা একের পর তলোয়ার পাচ্ছি, কেবল শ্রবণ দ্বারা। আমি নিউইয়র্কের এই আন্দোলন শুরু করেছি। আপনারা সব জানেন, যে আমার কাছে সত্যিই কোন তলোয়ার ছিল না। যেমন কিছু ধর্মীয় পন্থার মতো, এক হাতে ধর্মপুস্তক এবং অন্য হাতে, তলোয়ার: "এই ধর্মগ্রন্থ গ্রহণ কর, অন্যথায়, তোমার মাথা কাটব।" সেটি অন্য এক ধরণের প্রচার কিন্তু আমার কাছেও তলোয়ার ছিল, কিন্তু সেই তলোয়ারের মতো নয়। এই তলোয়ার হচ্ছে মানুষকে শুনতে সুযোগ দেয়ার তলোয়ার। ব্যাস্‌।

বাসুদেবকথা-রুচি। তাই যখনই যে রুচি পাবে... রুচি। রুচি মানে স্বাদ। "আহ্‌, এখানে কৃষ্ণ কথা হচ্ছে, বেশ ভাল তো। শোনা যাক।" এইভাবে আপনি তলোয়ার পাবেন, অবিলম্বে। তলোয়ার আপনারই হাতে। বাসুদেবকথা-রুচি। কিন্তু রুচি কোথা থেকে আসবে? এই স্বাদ? কারণ, আমি অনেক বার ব্যাখ্যা করেছি, স্বাদ, যেমন আঁখের মতন। প্রত্যেকে জানে এটা খুব মিষ্টি, কিন্তু যদি তুমি একজন মানুষকে দেও যে জন্ডিসে ভুগছে, সে এর স্বাদ তেঁতো পাবে। প্রত্যেকে জানে আঁখ খুব মিষ্টি, কিন্তু বিশেষ লোকটি যে জন্ডিস রোগে ভুগছে, সে আঁখের স্বাদ তেতো পাবে। প্রত্যেকে এটা জানে। এটাই সত্য।

তাই রুচি, বাসুদেব-কথা, কৃষ্ণ -কথা, শোনার স্বাদ, এই জড় অসুস্থ ব্যক্তি স্বাদ গ্রহণ করতে পারে না। এই রুচি, স্বাদ। এই স্বাদ পাবার জন্য প্রাথমিক কিছু কার্যক্রম আছে । কি সেটা? প্রথম জিনিস প্রশংসা: "ওহ, এটা খুব ভালো।" আদৌ শ্রদ্ধা, শ্রদ্ধধান। তাই শ্রদ্ধা, প্রশংসা, এটা শুরু। তারপর সাধু-সঙ্গ (চৈ.চ.মধ্য ২২.৮৩)। তারপর সঙ্গ। ঠিক আছে, এই লোকেরা জপ করছে এবং কৃষ্ণ কথা বলছে। আমিও যাই, বসে শুনি ওনারা কি বলছে"। এটি বলা হয় সাধু-সঙ্গ। যারা শ্রদ্ধালু, তাদের সাথে যুক্ত রাখতে। এটি দ্বিতীয় ধাপ। তৃতীয় ধাপটি হল ভজন-ক্রিয়া। আমরা যখন ভালভাবে সংযুক্ত হব, তখন আমরা অনুভব করব, "কেন আমি শিষ্য হব না?" তারপর আমরা এই রকম আবেদন পাই, "প্রভুপাদ" যদি আপনি আমাকে আপনার শিষ্য হিসাবে গ্রহণ করেন। এটা ভজন ক্রিয়ার শুরু। ভজন-ক্রিয়া মানে ভগবানের সেবায় নিযুক্ত হওয়া। এটি তৃতীয় পর্যায়।