BN/Prabhupada 0829 - চার দেয়াল তোমার কীর্তন শুনবে, সেটাই যথেষ্ট, হতাশ হয়ো না



The Nectar of Devotion -- Vrndavana, November 7, 1972

প্রদ্যুম্ন: "শ্রীল রূপ গোস্বামী মঙ্গলময়ের সংজ্ঞা দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রকৃত মঙ্গল অর্থাৎ পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য করা কল্যাণমূলক কাজ। "

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। ঠিক যেমন এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন: এটি বিশ্বের সকল মানুষের জন্য করা কল্যাণমূলক কার্যক্রম। এটি একটি সাম্প্রদায়িক আন্দোলন নয়, শুধু মানুষের জন্য নয়, পশু, পাখি, জন্তু, গাছ, সবার জন্য। শ্রীল হরিদাস ঠাকুর ভগবান শ্রীচৈতন্যের সাথে এই আলোচনাটি করেছিলেন। সেই বিবৃতিতে, শ্রীল হরিদাস ঠাকুর অনুমোদন করেছেন যে উচ্চস্বরে হরে কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করেলে, গাছেরা, পাখিরা, পশুরা সবাই উপকৃত হবে। এটি নামাচার্য শ্রীল হরিদাস ঠাকুরের বক্তব্য। তাই আমরা যখন উচ্চস্বরে হরে কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করি, সেটি সবার জন্য উপকারী। এই বক্তব্য মেলবোর্ন আদালতে পেশ করা হয়েছিল আদালতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, "তুমি রাস্তায় উচ্চস্বরে হরে কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করছ কেন?" আমরা উত্তর দিয়েছিলাম যে "কেবল সব মানুষের উপকারের জন্য।" আসলে, এটাই সত্য। অবশ্য, এখন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোন মামলা নেই। আমরা রাস্তায় খুব স্বচ্ছন্দে জপ করছি। সেটাই লাভ। যদি আমরা হরে কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করি, তাতে কেবল মানুষেরই নয়, সকলেরই উপকার হয়। আমার গুরু মহারাজ বলতেন, যদি কেউ অভিযোগ করে যে "আমরা যাই এবং কীর্তন করি, কিন্তু কেউ আমাদের সভায় উপস্থিত হয় না," সুতরাং গুরু মহারাজ উত্তরে বলতেন "কেন? চারটি দেয়াল শুনবে। সেটাই যথেষ্ট। হতাশ হবেন না। জপ করতে থাকুন। চারটি দেয়াল থাকলে তারা শুনবে। এখানেই শেষ।" সুতরাং জপ এত কার্যকর যে এটি পশু, জন্তু, পাখি, পোকামাকড়, সকলেরই উপকার করে। চালিয়ে যাও। এটি সর্বোত্তম কল্যাণমূলক কার্যক্রম। মানব সমাজে কোনও সমাজ বা জাতি বা সম্প্রদায় বা মানুষের জন্য কল্যাণমূলক কার্যক্রম রয়েছে। তবে এই কল্যাণমূলক কর্ম শুধু মানব সমাজের জন্য নয়, পাখি, জন্তু, গাছ, পশু, সকলের জন্য উপকারী। এটি বিশ্বের সেরা, সর্বোচ্চ কল্যাণমূলক কার্যকলাপ, কৃষ্ণ ভাবনামৃতের প্রচার করুন।