BN/Prabhupada 1024 - তুমি যদি এই দুটো নীতি অনুসরণ কর, তাহলে শ্রীকৃষ্ণ তোমার হাতের মুঠোয় চলে আসবেন



730408 - Lecture SB 01.14.44 - New York

তুমি যদি এই দুটো নীতি অনুসরণ কর, তাহলে শ্রীকৃষ্ণ তোমার হাতের মুঠোয় চলে আসবেন প্রভুপাদঃ তো মাঝে মাঝে অল্পবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের জন্য প্রতারণার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমরা প্রতারণা করছি না। আমরা খুব সরল। আমরা কেন প্রতারণা করব? শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,

মন্মনা ভব মদ্ভক্তো
মদ্ যাজী মাং নমস্কুরু
(ভগবদগীতা ১৮.৬৫)।

তাই আমরা বলি, "দয়া করে এখানে আস। হরে কৃষ্ণ, তুমি শুধু তাঁকে চিন্তা কর। "এটি এমন কঠিন কি? এখানে শ্রীরাধাকৃষ্ণ আছেন, তুমি যদি প্রতিদিন তাঁদের দর্শন কর, স্বাভাবিকভাবেই তোমার মনের মধ্যে শ্রীরাধাকৃষ্ণের জন্য গভীর অনুভূতি লাভ করবে। তাই যেকোনো জায়গায়, যেকোনো পরিস্থিতিতে তুমি শ্রীরাধা কৃষ্ণের কথা চিন্তা করতে পার, সমস্যা কোথায়? মন্মনা। তুমি হরে কৃষ্ণ জপ কর। যেই মাত্র তুমি জপ করবে "কৃষ্ণ," তৎক্ষণাৎ তোমার মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের রূপের কথা স্মরণ হবে, নামরূপ। এরপর যখন তুমি শ্রীকৃষ্ণের কথা শ্রবণ করছ; তুমি তাঁর নাম, রূপ, গুণ, লীলা, পরিকর, বৈশিষ্ট্য স্মরণ করছ। এইভাবে তুমি অনুশীলন করতে পার। তেমন কঠিন কি? এটি হচ্ছে অনুশীলনের প্রাথমিক পর্যায়। প্রকৃতপক্ষে শ্রীকৃষ্ণ এখানে রয়েছেন, কিন্তু যেহেতু আমার দেখার মতো চোখ নেই, তাই আমি ভাবছি, "এখানে তো... কৃষ্ণ কোথায়? এটি একটি পাথর, মূর্তি।" কিন্তু সে জানে না যে এই পাথরটিও কৃষ্ণ। পাথরও কৃষ্ণ, জলও কৃষ্ণ, মাটিও কৃষ্ণ। বাতাসও কৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া কোন কিছুরই অস্তিত্ব নেই। তাই ভক্তরা তা দেখতে পারেন। তাই তিনি যখন এমন কি কোন পাথরও দেখেন, তার মধ্যে তিনি শ্রীকৃষ্ণকে দেখতে পান। কোন নাস্তিক বলবে যে "তোমরা পাথর পূজা করছ।" কিন্তু তারা পাথর পূজা করছে না; তাঁরা শ্রীকৃষ্ণের পূজা করছে, কারণ তাঁরা জানেন যে শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া অন্য কোন কিছু নেই। প্রেমাঞ্জনচ্ছুরিত ভক্তিবিলোচনেন (ব্রহ্মসংহিতা ৫.৩৮)। এই স্তরে আমাদেরকে পৌঁছাতে হবে। কিভাবে তুমি বলছ যে পাথর শ্রীকৃষ্ণ নন? শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন... তোমাকে শ্রীকৃষ্ণকে জানতে হবে ঠিক সেইভাবে, যেভাবে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন।

তো ভগবদ্গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,

ভূমিরাপোহনলো বায়ুঃ
খং মনো বুদ্ধিরেব চ
অহঙ্কার ইতীয়ং মে
ভিন্না প্রকৃতিরষ্টধা
(ভগবদ্গীতা যথাযথ ৭.৪)।

"এরা আমার।" ঠিক যেমন আমি বলছি। আমি বলছি, আর এটি রেকর্ড করা হচ্ছে, এবং পুনরায় আমরা এটি চালাবো। একই শব্দ বেরিয়ে আসবে। আর তুমি যদি জান যে "এখানে আমাদের গুরুদেব রয়েছেন..." কিন্তু আমি সেখানে নেই। এখন শব্দটি আমার থেকে ভিন্ন। ভিন্না। ভিন্না মানে "আলাদা।" কিন্তু যখনই রেকর্ডটি বাজানো হবে, প্রত্যেকেই জানবে যে "ভক্তিবেদান্ত স্বামী এখানে রয়েছেন।" যদি তুমি জান। তো এর জন্য শিক্ষার প্রয়োজন। শ্রীকৃষ্ণ... (বিরতি)

সুতরাং, যে যথা মাং (ভগবদ্গীতা ৪.১১)। ... তুমি যত বেশী শ্রীকৃষ্ণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে, তত বেশী তুমি শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পারবে।

সেবন্মুখে হি জিহ্বাদৌ
স্বয়মেব স্ফুরত্যদঃ
(চৈচ মধ্য ১৭.১৩৬)।

তাই আমাদের পদ্ধতি খুব সরল। শুধুমাত্র তোমার জিহ্বাকে নিয়োজিত কর। অন্যসব ইন্দ্রিয়কে একপাশে সরিয়ে রাখ। জিভ খুব শক্তিশালী। আর জিভই হচ্ছে আমাদের চরম শত্রু, আবার জিভই আমাদের সবচেয়ে অন্তরঙ্গ বন্ধু হতে পারে। এই জিভ। তাই শাস্ত্র বলছে যে /// শুধুমাত্র তোমার জিভকে ভগবানের সেবায় নিয়োজিত কর, তাহলে সেই প্রকাশিত করবে। খুব সুন্দর। তো এখন আমরা এই জিভ দিয়ে কি করতে পারি? আমরা কথা বলিঃ কৃষ্ণকথা বল। আমরা গান করিঃ কৃষ্ণ নাম কীর্তন কর। আমরা খাইঃ কৃষ্ণ প্রসাদ আস্বাদন কর। এভাবেই তুমি শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পারবে। যে কোন বোকা মানুষ বা অশিক্ষিত মানুষ, অথবা জীবনের যে কোন অবস্থায় তুমি এই জিভকে শ্রীকৃষ্ণের সেবায় লাগাতে পার। এমন কিছু খাবে না যা শ্রীকৃষ্ণ গ্রহণ করেন নি- তোমার জিভ তোমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠবে। আর শ্রীকৃষ্ণ সম্বন্ধ ছাড়া অন্য কোন কথা বলবে না। তুমি যদি এই দুটো নীতি অনুসরণ কর, তাহলে শ্রীকৃষ্ণ তোমার হাতের মুঠোয় চলে আসবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভক্তবৃন্দঃ জয়, হরিবোল।