BN/Prabhupada 1028 - এই সমস্ত রাজনীতিবিদেরা, তারা সমগ্র পরিস্থিতিটা নষ্ট করে দিচ্ছে



731129 - Lecture SB 01.15.01 - New York

প্রভুপাদঃ প্রত্যেকেই মিথ্যাভাবে ভাবছে যে সে স্বাধীন, আসলে সে নির্ভরশীল। কিন্তু সে মিথ্যার স্তরে নির্ভর করছে। এটিই হচ্ছে এই জড় সভ্যতার ভুল। তারা ভাবছে কিভাবে এই জড় জগতের টলমল অবস্থা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। তো আমাদেরকে শ্রীকৃষ্ণের আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে। শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সবার প্রতি অত্যন্ত বন্ধুভাবাপন্ন। তাই তিনি বৈকুণ্ঠলোক থেকে নামা আসেন এটা জানানোর জন্য; আর তা হচ্ছে ভগবদ্গীতা। আর শ্রীমদ্ভাগবতে তা আরও বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এটিই হচ্ছে একমাত্র বস্তু। তো মানুষ বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমি বিমানবন্দরে এটি বলেছিলাম। রিপোর্টার আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল "আগত সমস্যা সমূহের সমাধান কি?" সমাধান হচ্ছে কৃষ্ণভাবনামৃত, এটি ইতিমধ্যেই এখানে রয়েছে, কিন্তু তোমরা বদমাশরা এটি গ্রহণ করবে না। সমাধান ইতিমধ্যেই এখানে রয়েছে। আরবীয়রা যদি মনে করে যে এই তেল শ্রীকৃষ্ণের সম্পদ আর অন্যরা যারা কিনছে, তারাও যদি এটিকে শ্রীকৃষ্ণের সম্পদ মনে করে, তাহলে তারা অবশ্যই রাজি হবে। আমেরিকাও অবশ্যই রাজি হবে যে এই আমেরিকাও শ্রীকৃষ্ণের সম্পত্তি। যদি তুমি মনে কর যে আরবের তেল শ্রীকৃষ্ণের সম্পত্তি, ভগবানের সম্পদ, আমরা এটিকে জোর করে নিয়ে নিব। তাহলে আরবীয়দের কেন মরুভূমি ত্যাগ করে আমেরিকায় এসে বসবাসে সুযোগ দেয়া হবে না? কিন্তু তারা মূর্খ, তারা আসবে না, তারা জাতিসংঘ বানিয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘ মানে শুধু ভুল ভুল ভুল আর ভুল করা। এই যা। এটিই তাদের কাজ। তোমরা কেন একত্রিত হও না। হ্যাঁ, আরবের তেল শ্রীকৃষ্ণের সম্পদ। একইভাবে অস্ট্রেলিয়া অথবা, আফ্রিকা কিংবা আমেরিকার ভূমিও শ্রীকৃষ্ণের, এই সুবিশাল ভূমি, কিন্তু "না, আমরা এখানে আসব না। ইয়ো ইয়ো।" অভিবাসন বিভাগে তারা বলে থাকে। তোমরা দেখবে। 'ইয়ো ইয়ো বিভাগ।'

তাই এই সমস্ত অজ্ঞ, বদমাশ রাজনীতিবিদেরা, তারা সমগ্র পরিস্থিতিটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে, কিন্তু তারা এতো বড় বদমাশ, তারা সমাধানটা গ্রহণ করবে না। কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ কর, তাহলে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এটিই সত্য। মূঢ়, কিন্তু তারা এতো বদমাশ, দুস্কৃতিনো, পাপকর্মে লিপ্ত। ন মাং দুষ্কৃতিনো মূঢ়াঃ প্রপদ্যন্তে নরাধমাঃ (শ্রীমদ্ভগবত গীতা ৭.১৫), আর নিম্ন শ্রেণীর মানুষ। তাই সর্বদাই মনে রাখবে যে আমাদের প্রচার কার্যে এই ধরণের লোকদের সাথে কাজ করতে হয়। দুস্কৃতিনো মানে পাপকর্মে পূর্ণ। মূঢ়, বদমাশ, নরাধম, সবচেয়ে নিম্ন শ্রেণীর মানুষ আর মায়য়াপহৃতজ্ঞানা, তারা নিজেদেরকে শিক্ষার দিক থেকে খুব উন্নত ভাবছে, আসলে এক নম্বরের বোকাঃ মায়া তাদের প্রকৃত জ্ঞান অপহরণ করে নিয়েছে, মায়য়াপহৃতজ্ঞানা। আসুরং ভাবমাশ্রিতাঃ। এই সমস্ত ব্যাপার গুলো কেন? কারণ তারা নিরীশ্বরবাদী, নাস্তিকতাই হচ্ছে একমাত্র ভুল। আসুরং ভাবমাশ্রিতাঃ। কারণ তারা এই ধারণাটা আত্ত্বস্ত করে নিয়েছে যে "কোন ভগবান নেই।" এই সমস্ত বড় বড় বৈজ্ঞানিকেরা, তারা এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে যে ভগবান নেই, "এই সৃষ্টি কার্য সম্ভব হয়েছে শুধু কিছু জড় আর রাসায়নিক পদার্থের কারণে, জল এসেছে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেনের রাসায়নিক সংমিশ্রনের ফলে, এইগুলো হচ্ছে..." যতসব মূর্খের তত্ত্ব... আর তারা কিনা পাচ্ছে নোবেল পুরস্কার। তারা নোবেল পুরস্কার পাচ্ছে। এই হচ্ছে অবস্থা।

কাজেই এই শ্লোক থেকে আমাদের জানা উচিত... এবং কৃষ্ণসখঃ কৃষ্ণো ভ্রাতা রাজ্ঞাবিকল্পিতঃ নানাশঙ্কা... (শ্রীমদ্ভাগবত ১.১৫.১) এই সমস্ত বদমাশরা... আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠ উন্নত ভ্রাতাগণ, তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, "এর কারণ হচ্ছে এটি," "এর কারণ হচ্ছে," "এর কারণ হচ্ছে," "এর কারণ হচ্ছে।" কিন্তু একমাত্র কারণ হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণ, কৃষ্ণ বিস্মৃতি, এটি তারা জানে না। একমাত্র কারণ।

কৃষ্ণ ভুলিয়া জীব ভোগবাঞ্ছা করে,
পাশে থাকি মায়া তারে জাপটিয়া ধরে।।

এটিই হচ্ছে কারণ। সুতরাং এই সংস্কৃতি প্রচারের চেষ্টা কর। কিন্তু এমন নয় যে সবাই তা গ্রহণ করবে, কিন্তু যদি কয়েক শতাংশ, সমগ্র জনসংখ্যার এক শতাংশও গ্রহণ করে, ঠিক যেমন আকাশে চাঁদ রয়েছে মাত্র একটি, আর তারা আছে লক্ষ লক্ষ। এগুলো বেকাজের। লক্ষ লক্ষ তারার কি মূল্য? কিন্তু একটি চাঁদ, ওহ্‌ , রাতের সমস্ত অন্ধকারকে দূরীভূত করে। একইভাবে, অন্ততপক্ষে যারা কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ করেছে, তোমরা এসেছ, তোমরা প্রত্যেকেই এক একটি চাঁদ হও আর পৃথিবীকে আলোকিত কর। এই সমস্ত তথাকথিত জোনাকিরা কিছুই করতে পারবে না। এটিই সত্য। জোনাকি হয়ে থেকো না। শুধু সূর্য আর চন্দ্র হও। তখন তুমি... মানুষ সুখী হবে, তোমরা সুখী হবে।

অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভক্তবৃন্দঃ জয় শ্রীল প্রভুপাদ!